—ফাইল চিত্র।
বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ, মঙ্গলবার সমাবর্তন। তিনি সেখানে যাচ্ছেন বলে রবিবারেই টুইট করে জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের কাছে সোমবারেও সরকারি ভাবে এই তথ্য পৌঁছয়নি। রাজ্যপালের টুইটের মাধ্যমেই তাঁরা যা জানার জেনেছেন। এই অবস্থায় ওই অনুষ্ঠানে আচার্য-রাজ্যপালের সম্ভাব্য উপস্থিতি নিয়ে এ দিন জল্পনা তীব্রতর হয়েছে। আচার্যের নিরাপত্তা দেখতে পুলিশ এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়-প্রাঙ্গণ ঘুরে গিয়েছে।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলেরই মুখে কুলুপ। সমাবর্তনে রাজ্যপালের যোগদান নিয়ে উপাচার্য বাসব চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ দিন শুধু বলেন, ‘‘এখন সমাবর্তন নিয়ে খুবই ব্যস্ত আছি। যা বলার সমাবর্তনের পরে বলব।’’
কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বার সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্রে অন্যান্য অতিথির নাম থাকলেও রাজ্যপালের নাম ছিল না। ধনখড় তাতে এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়কে ‘শো-কজ়’ করেন। রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্রে কোনও অতিথিরই নাম রাখা হয়নি।
আরও পড়ুন: পুরভোটের কী খবর? কমিশনারকে ডাক রাজ্যপালের, হিংসার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারিও
রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সেখানে কাউকে সাম্মানিক ডিলিট বা ডিএসসি দেওয়া হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর, সমাবর্তনে ডিগ্রি দেওয়া হবে এমফিল এবং পিএইচ ডি প্রাপকদের। স্বর্ণপদক তুলে দেওয়া হবে সব বিভাগের প্রাপকদের হাতে। ধনখড় তাঁর টুইটে সমাবর্তনে পৌরোহিত্য করবেন বলেও জানান। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে পুরোপুরি নীরবতা অবলম্বন করায় ধোঁয়াশা থেকেই গিয়েছে।