নবান্ন। —ফাইল চিত্র।
জট কাটার ইঙ্গিত!
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রাম মন্দির উদ্বোধনের পরের দিন, ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বৈঠকে ডাকা হল রাজ্যের যে দফতরগুলির বরাদ্দ আটকে রয়েছে, তাদের সচিবদের। সেখানে থাকবেন কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সচিবরাও। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকার কাছে কেন্দ্রের লিখিত বার্তা এসেছে।
রাজ্যে সবচেয়ে বেশি দিন আটকে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অর্থ। রাজ্যের দাবি, তার পরিমাণ অন্তত আট হাজার কোটি টাকা। একশো দিনের কাজে আটকে রয়েছে আরও প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনাতে প্রকল্পের প্রস্তাব অনুমোদন পেলেও, বরাদ্দ এখনও আসেনি। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে বছরে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা পাওয়া যায়। বিস্তর টানাপড়েনের পরে গত জুলাইয়ে শেষ বরাদ্দ এসেছিল। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, পঞ্চায়েত এবং স্বাস্থ্য দফতর ছাড়াও বৈঠকে থাকবে নগরোন্নয়ন-সহ কয়েকটি দফতর।
বকেয়া বরাদ্দের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পরে জট কাটানোর পথ খুঁজতে কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ কমিটি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। প্রশাসনের দাবি, এখন সেই বৈঠকেই ডাকা হয়েছে রাজ্যের সচিবদের। মনে করা হচ্ছে, লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-সহ কেন্দ্রীয় অনুদানভুক্ত প্রকল্পগুলির অগ্রগতি তুলে ধরতে চাইবে কেন্দ্র। মোদীর ‘পাখির চোখ’ সেই আবাস যোজনা এ রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। যদিও প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১১ লক্ষ উপভোক্তার নাম রয়েছে। ফলে সেই প্রকল্পের বরাদ্দ ঘিরে বাড়তি আশা রয়েছে রাজ্যের।