Vacant Seat. College Asmission

আসন ফাঁকা বহু কলেজেই, পূরণ হবে কি না সংশয়

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিদ্যানগর কলেজের অধ্যক্ষ সূর্য আগরওয়াল জানান, তাঁর কলেজেও প্রায় ১০০ সংরক্ষিত আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এই আসন পূরণের জন্য উচ্চশিক্ষা দফতরে আবেদন করবেন।

Advertisement

মধুমিতা দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২০ ০৪:২৩
Share:

প্রতীকী চিত্র।

রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে স্নাতক স্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করার কথা। এই অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, গত কয়েক বছরের মতো এ বারেও রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে বেশ কিছু সংরক্ষিত আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। খালি থেকে গিয়েছে কিছু বিষয়ের সাধারণ আসনও। ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সেগুলি পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

Advertisement

বিভিন্ন কলেজ কর্তৃপক্ষ ফাঁকা পড়ে থাকা আসনগুলিকে অসংরক্ষিত ঘোষণা করার জন্য অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরে আবেদন করছেন। মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মন্টুরাম সামন্ত জানান, ৫ অক্টোবর তিনি এই বিষয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনও সম্মতি দেওয়া হয়নি। চলতি মাসে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতেই হলে তাঁর কলেজের চার শতাধিক সংরক্ষিত ফাঁকা আসন কতটা পূরণ হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন মন্টুরামবাবু।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিদ্যানগর কলেজের অধ্যক্ষ সূর্য আগরওয়াল জানান, তাঁর কলেজেও প্রায় ১০০ সংরক্ষিত আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এই আসন পূরণের জন্য উচ্চশিক্ষা দফতরে আবেদন করবেন। ইতিমধ্যেই আবেদন করেছে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ, নিউ আলিপুর কলেজ। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর জানান, তাঁর কলেজে ২০০ সংরক্ষিত আসন ফাঁকা। নিউ আলিপুর কলেজেও প্রায় ২০০ সংরক্ষিত আসন পূর্ণ হয়নি বলে জানান অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনা ঠেকাতে ক্লাবগুলির দায়িত্ব অনেক: মুখ্যমন্ত্রী​

কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, আসন ফাঁকা পড়ে থাকছে সংস্কৃত, দর্শন, অর্থনীতির মতো বিষয়ে। মহেশতলা কলেজের অধ্যক্ষ রুম্পা দাস জানান, তাঁর কলেজে প্রায় ২০০ সংরক্ষিত আসন এখনও খালি পড়ে আছে। সেপ্টেম্বরেই তিনি ওই সব ফাঁকা আসনকে অসংরক্ষিত করার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। অর্থনীতি, সংস্কৃতের মতো বিষয়ের সাধারণ আসনেও খুব কম পড়ুয়া পাওয়া গিয়েছে। ফাঁকা সংরক্ষিত আসন বা খালি থেকে যাওয়া সাধারণ আসন আর কতটা পূরণ হবে, সেই প্রশ্ন জোরদার হয়েছে। ভর্তির গোটা প্রক্রিয়া ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করা যাবে কি না, সেই বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেক অধ্যক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement