বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর ‘হুমকি’র জেরে অধিবেশন কক্ষে ওই চার বিধায়কের আসন বদল করে দেওয়া হল। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁদের ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দিয়েছিলেন বলে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া চার বিধায়ক। এ বার অধিবেশন কক্ষে ওই চার বিধায়কের আসন বদল করে দেওয়া হল। এত দিন তাঁরা বসতেন বিরোধী দলনেতার ডান পাশের ব্লকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারিতে। কিন্তু এ বার তাঁদের আসন দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতার বাঁ পাশের তিন নম্বর ব্লকে। সেখানেই বসেন আরও এক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া বিধায়ক মুকুল রায়। সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে সেখানেই বসবেন তাঁরা। এঁরা হলেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বড়জোড়ার বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়।
বুধবার ওই বিধায়করা দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা চলাকালীন বারবার অকারণে বাধা দিচ্ছিলেন বিরোধী দলনেতা। তার প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁরা। তুমুল বাগ্বিতণ্ডা শুরু হলে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। ওই বিধায়কদের অভিযোগ, অধিবেশন ছাড়ার সময় বিরোধী দলনেতা তাঁদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের আয়করের নোটিশ পাঠানোর বন্দোবস্ত করছি। তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, বিরোধী দলনেতা তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। বিষয়টি অধিবেশনে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান ওই চার জন। স্পিকার তাঁদের লিখিত আবেদন করতে নির্দেশ দেন। লিখিত নির্দেশ পেলে তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্পিকারকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিধায়কদের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন স্পিকার। বিষয়টি আলোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে স্বাধিকার রক্ষা কমিটির কাছে। চলতি অধিবেশনেই ওই কমিটির রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার। পাশাপাশি তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে ওই বিধায়কদের আসন বদল করা হয়েছে। ঘটনার দিনই বিধায়কদের নিরাপত্তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয় স্পিকারের। তার পরেই প্রশাসনের পক্ষে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে নিরাপত্তা জোরদার করতে।