—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দিনে দিনে ট্রেনে বাড়ছে মহিলা যাত্রীদের সংখ্যা। মাতৃভূমি লোকাল দিয়েও সেই ভিড় সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে লোকাল ট্রেনে দু’টি মহিলা কামরা রয়েছে। মহিলাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এ বার কামরা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিয়ালদহ ডিভিশন। ১ এপ্রিল থেকে শিয়ালদহ ডিভিশনে চলাচলকারী ১১৪টির মধ্যে ৩০টি ট্রেনে পরীক্ষামূলক ভাবে মহিলাদের জন্য আরও দু’টি কামরা বরাদ্দ করা হয়েছে।
শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রতি দিন লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন। রুটিরুজির জোগাড়ে শহরতলির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ কলকাতায় আসেন। অনেকে আবার কলকাতা থেকে যান অন্য জায়গায়। তাঁদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এ বার তাঁদের ট্রেনযাত্রা কিছুটা সুখকর করতে আরও কামরা মহিলাদের জন্য বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘লেডিজ় স্পেশ্যাল’ বা মাতৃভূমি লোকাল চালু করেছিলেন। কর্তৃপক্ষের মতে, মাতৃভূমির মতো ট্রেনে মহিলারা অনেক স্বচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারেন। কিন্তু সব লাইনে সব সময় মাতৃভূমি চালানো সম্ভব নয়। তাই মহিলা যাত্রীদের ভরসা ট্রেনের দুই মহিলা কামরা। নয়তো অন্য কামরায় পুরুষদের সঙ্গে লড়াই করে উঠতে হয়। ব্যস্ত সময়ে ওই ভাবে যাত্রা করা অনেকের কাছেই অস্বস্তির।
মহিলাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখেই শিয়ালদহ ডিভিশনে বাড়তি ‘লেডিজ় কামরা’ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। তবে তা মিলছে কেবল ‘থ্রি ফেজ় ইএমইউ’ রেকেই। বর্তমানে ১২ কামরার লোকালে প্রথম এবং শেষ দিক থেকে দ্বিতীয় কামরাটি শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট থাকে। ১ এপ্রিল থেকে ‘থ্রি ফেজ় ইএমইউ’ রেকে ট্রেনের দু’প্রান্তের ভেন্ডর কামরার সঙ্গে লাগোয়া কামরাটি মহিলাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
ভারতের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন হল শিয়ালদহ। প্রতিদিনই এই স্টেশনের উপর দিয়ে গড়ে ১৫ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। শিয়ালদহ মেন, উত্তর এবং দক্ষিণ— এই তিন শাখায় প্রচুর মহিলা যাত্রীও ট্রেনযাত্রা করে থাকেন। কিন্তু অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই ট্রেনের সাধারণ কামরায় নিরাপত্তার অভাব ভোগ করেন মহিলারা। শুধু তা-ই নয়, ব্যস্ত সময়ে পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাধারণ কামরায় ওঠাও মহিলাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য। সেই সব বিষয় মাথায় রেখেই ট্রেনে মহিলাদের জন্য অতিরিক্ত কামরা রাখার প্রস্তাব ওঠে। সেই প্রস্তাবে সায় দিল রেল।