Illegal Stone Mining

আদিবাসীদের কৃষিজমিতে ‘অবৈধ পাথর খাদান’ বীরভূমে!জেলাশাসককে খতিয়ে দেখতে বলল হাই কোর্ট

বীরভূম জেলার রামপুরহাট থানা এলাকায় অবৈধ ভাবে পাথর খাদান চালানোর অভিযোগ। জেলাশাসককে খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ০০:১৯
Share:
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আদিবাসীদের কৃষিজমি নষ্ট করে অবৈধ ভাবেই চলছে পাথর খাদান। আর সেখান থেকেই দিনের পর দিন পাথর তুলছেন পাথর মাফিয়ারা। বীরভূম জেলার রামপুরহাট থানা এলাকার তারাচুয়া মৌজার বেশ কয়েক জন বাসিন্দা এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বুধবার বিচারপতি পার্থসারথি সেন জেলাশাসককে বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

অভিযোগ, রামপুরহাট থানার অন্তর্গত তারাচুয়া মৌজায় বছরের পর বছর ধরে আদিবাসীদের কৃষিজমি নষ্ট করে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন পাথর মাফিয়ারা।আরও অভিযোগ, প্রশাসনের অনুমতি না-নিয়েই এই কাজ করা হচ্ছে।

মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরীর অভিযোগ, পাথর মাফিয়ারা আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমি বলপূর্বক কেড়ে নিচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসন এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। মামলাকারীদের এও অভিযোগ যে, নিম্ন আদালতের জমির চরিত্র পরিবর্তন না-করার নির্দেশিকাকে অমান্য করেই পাথর মাফিয়ারা দিনের পর দিন পাথর উত্তোলন করছেন।

Advertisement

বিচারপতি সেনের এজলাসে মামলার শুনানি চলার সময় মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, কোনও জায়গায় পাথর উত্তোলন বা পাথর খাদান করতে হলে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট আইন মেনে এবং অনুমতি নিয়েই কাজ করতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি।

বিচারপতি সেন বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন যে, ‘মাইনিং অ্যাক্ট’ না-মেনেই কী ভাবে এই ধরনের কাজ করে চলেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা? বীরভূমের জেলাশাসককে এক জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক নিয়োগ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতি। যদি এই ধরনের কোনও কাজ রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই চলে, তবে তা অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়ারও নির্দেশ দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement