প্রতীকী ছবি।
সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির পথে। বিশেষ অধিকারের সঙ্গে রাজ্যের মর্যাদাও হারাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর। ওই অঞ্চল ভেঙে আলাদা হচ্ছে লাদাখ। পাল্টে যাচ্ছে ভারতের মানচিত্র। এই সব পরিবর্তন পাঠ্যক্রমে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে শিক্ষা শিবিরে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের এই পরিবর্তনকে সরকারি ভাবে মান্যতা দিয়ে ভারত সরকার তথ্য প্রকাশ করলে তবেই পাঠ্যক্রম বদলানো হবে বলে সোমবার জানান রাজ্যের পাঠ্যক্রম কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার। অভীকবাবু বলেন, ‘‘সারা রাজ্যে স্কুলের প্রতি ক্লাসে গড়ে ১৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। এত বই শিক্ষাবর্ষের মাঝখানে পাল্টানো সম্ভব নয়। আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যে জেলা ভাগ হয়েছে। নতুন জেলা তৈরি হয়েছে। সেই সব পরিবর্তন সরকারি ভাবে ঘোষণা করার পরে পরিবর্তন আনা হয়েছে পরবর্তী পাঠ্যক্রমে।’’ তাঁর মতে, বদল শুধু পাঠ্যক্রমে নয়, এ দিনের ঘোষণা অনুযায়ী ভারতের মানচিত্রেরও বদল ঘটার কথা। তাই ভারতের ঘোষিত মানচিত্র কী হচ্ছে, কেন্দ্র তা সরকারি ভাবে ঘোষণা করলে তবেই পরবর্তী পাঠ্যক্রমে বদলে যাওয়া মানচিত্র দেওয়া হবে।
অনেক স্কুলের মতো সিবিএসই পাঠ্যক্রম মেনে চলে শ্রীশিক্ষায়তন। ওই স্কুলের মহাসচিব ব্রততী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সিবিএসই বোর্ডের কর্তারা যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই অনুযায়ী পড়ানো হবে। আগেও সিবিএসই বোর্ড শিক্ষাবর্ষের মাঝখানে পাঠ্যক্রম বদলেছে। তেমন নির্দেশিকা এলে সেই নির্দেশিকা মেনে চলব।’’ আইসিএসই বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন বলেন, ‘‘পাঠ্যক্রম কতটা কী বদলাবে, সেই বিষয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।’’