ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকারের পূর্ব ঘোষণা মতো ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খোলায় কোনও বাধা নেই বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে স্কুল খুললেও করোনাবিধি মেনেই হবে ক্লাস। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। এ ক্ষেত্রে স্কুল খোলা নিয়ে রাজ্যের জারি করা ২৯ অক্টোবরের নির্দেশই বহাল রাখল আদালত।
বৃহস্পতিবার আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতকে জানান, দেশের প্রায় সব রাজ্যে স্কুল খুলে গিয়েছে। অনেক আগেই স্কুল খুলেছে অন্ধ্রপ্রদেশ, চণ্ডীগড়, বিহার, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে। এ রাজ্যেও স্কুল খোলার অনুমতি দেওয়া হোক। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে স্কুল খোলার পর কী কী পদক্ষেপ করা হবে এবং কী ভাবে স্কুল চালানো হবে তা সবিস্তারে জানিয়েছে রাজ্য।
আদালতে রাজ্য জানিয়েছে, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হলে স্কুলের ১৫ শতাংশ পড়ুয়া উপস্থিত থাকবে। প্রতি দিন ১০ মিনিট করে পড়ুয়াদের কোভিড নিয়ে সচেতন করা হবে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালু হলে অভিভাবক, স্কুল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক সংগঠন কারও কোনও অসুবিধা থাকলে তারা আদালতে আসতে পারে।তা ছাড়া ক্লাস চালু করতে কোনও স্কুলের অসুবিধা থাকলে তারাও রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।
১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাজ্য জানিয়েছিল,আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে। নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টে পর্যন্ত। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত হবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস। ওই সময়কালে স্কুলগুলিতে যথাযথ করোনা বিধি মেনেই চলবে পড়াশোনা।
কিন্তু পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই একটি জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। সোমবার মামলাটি করেন আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী। আদালতে তিনি আবেদন করেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই স্কুল খুলছে রাজ্য। অথচ স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনার কথা তারা এখনও জানায়নি। এই অবস্থায় পড়ুয়ারা স্কুলে গেলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার দাবিও জানান তিনি। তবে মামলাকারীর সমস্ত দাবি বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিয়েছে আদালত।