ফাইল চিত্র
অতিমারির প্রকোপ নিম্নমুখী হলেও তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে পুরো মাত্রায়। এই অবস্থায় পুজোর পরে পরে স্কুল খোলার তোড়জোড়ের পাশাপাশি নভেম্বরে ‘মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক’ বা আদর্শ গৃহপাঠের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য ৫০ নম্বরের সেই গৃহপাঠ বাংলা শিক্ষা পোর্টালে আপলোডও করা হয়েছে। সমাধান করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা পরের মাসে সেই প্রশ্নমালা পড়ুয়াদের দেবেন বলে জানান শিক্ষা দফতরের এক কর্তা।
প্রতি মাসে অভিভাবকেরা যখন মিড-ডে মিলের সামগ্রী নিতে স্কুলে আসেন, তখনই শিক্ষকেরা তাঁদের হাতে প্রতিটি বিষয়ের গৃহপাঠ তুলে দেন। অভিভাবকেরা বাড়ি গিয়ে তা দেন ছেলেমেয়েদের। পড়ুয়ারা তার সমাধান করে ফের শিক্ষকদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। আগে এই গৃহপাঠে কোনও নম্বর দেওয়া হত না। গত কয়েক মাসে গৃহপাঠে নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হলেও শিক্ষকদের অভিযোগ ছিল, প্রতিটি বিষয়ে পূর্ণমান সমান ছিল না। কোনও কোনও বিষয়ের পূর্ণমান ছিল ৪৮, কোনও বিষয়ের ১৮, আবার কোনও বিষয়ের পূর্ণমান ছিল ২০ নম্বর। এর ফলে সামগ্রিক মূল্যায়নে অসুবিধা হচ্ছিল। এ বারেই প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি বিষয়ে ৫০ নম্বরের মডেল গৃহপাঠ পড়ুয়াদের সমাধান করতে দিল শিক্ষা দফতর।
সাধারণ গৃহপাঠের বদলে ৫০ নম্বরের আদর্শ গৃহপাঠ দেওয়া হচ্ছে কেন? শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, “করোনার জন্য দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। স্কুল খোলার আগে এক বার ভাল করে যাচাই করে নিতে হবে, ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে প্রতিটি বিষয় সামগ্রিক ভাবে কতটা শিখেছে। কতটা খামতি রয়ে গিয়েছে পড়ুয়াদের, এই আদর্শ গৃহপাঠের উত্তর দেখে শিক্ষক-শিক্ষিকারা তা যাচাই করে নেবেন। স্কুল খুললে সেই অনুযায়ী প্রত্যেক পড়ুয়ার প্রতি আলাদা নজর দিয়ে তাদের খামতি মেটাবেন শিক্ষকেরা।”
স্কুল খোলার আগে এই আদর্শ গৃহপাঠের পরিকল্পনাকে অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকাই স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তাঁদের একাংশের আশঙ্কা, এত আগে বাংলা শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করায় ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে সমাধানের প্রবণতা বাড়তে পারে। তাই পড়ুয়ারা যাতে ইউটিউব দেখে উত্তর লেখার সুযোগ না-পায়, তা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।