প্রতীকী ছবি।
সূচনা পর্ব থেকেই স্কুলশিক্ষকদের বদলির পোর্টাল ‘উৎসশ্রী’ নিয়ে বিভ্রান্তি ও হয়রানির নানা অভিযোগ উঠছিল। এ বার ওই পোর্টালের মাধ্যমে বদলির জেরে হয়রানির বিষয়টি আদালতে তো গড়ালই। প্রশ্ন তুলে দিল, উৎসশ্রীর মাধ্যমে বদলি এবং স্কুলের শূন্য পদ নিয়ে কি তা হলে কোনও গরমিল বা কারচুপি চলছে?
উৎসশ্রীর মাধ্যমে বদলি হয়ে এক শিক্ষিকা নতুন স্কুলে যোগ দেওয়ার দু’মাস পরেই সেই বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয় এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাঁকে পুরনো স্কুলে ফিরতে বলা হয়। সুরঙ্গমা সিংহরায় নামে ওই শিক্ষিকা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় পুরনো স্কুলে ফেরার নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ দেন। মিশনের রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি। পরবর্তী শুনানি ২৮ নভেম্বর।
সুরঙ্গমার আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, তাঁর মক্কেল ঠাকুরনগর বালিকা বিদ্যালয় থেকে বদলির পরে ৭ সেপ্টেম্বর মধ্যমগ্রাম এপিসি গার্লস স্কুলে যোগ দেন। তার কিছু দিন পরেই মধ্যমগ্রাম স্কুল জানায়, ওই পদ ইতিপূর্বেই ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। তাই ৩ নভেম্বর বদলির নির্দেশ বাতিল করে পুরনো স্কুলে সুরঙ্গমাকে ফিরতে বলে কমিশন। প্রশ্ন উঠছে, স্কুলে পদ যদি শূন্যই না-থাকবে, পদ খালি বলে উৎসশ্রীতে দেখানো হল কী ভাবে? পদ খালি না-থাকলে এপিসি গার্লস স্কুলের কর্তৃপক্ষ কোন পদে সুরঙ্গমাকে যোগ দিতে দিয়েছেন? সুরঙ্গমার আইনজীবী জানান, বদলি বাতিলের নির্দেশ বহাল থাকলে তাঁর মক্কেল যদি পুরনো স্কুলে ফিরে যান, ভবিষ্যতে তাঁর বদলির সুযোগ না-পাওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।
এক এসএসসি-কর্তা জানান, উৎসশ্রীতে দেখাচ্ছিল, ওই স্কুলে শিক্ষিকার পদ ফাঁকা আছে। তাই ওই শিক্ষিকার জন্য সেই স্কুলে সুপারিশ করা হয়। স্কুলে প্রকৃতপক্ষে ওই বিষয়ের শিক্ষিকার পদ ফাঁকা আছে কি নেই, কমিশনের পক্ষে তা যাচাই করা সম্ভব নয়। ‘‘ওই শিক্ষিকাকে পুরনো স্কুলে না-ফেরালে তাঁর বেতন বন্ধ হয়ে যেত। তাই তাঁকে ফিরে যেতে বলা হয়েছে,’’ বলেন ওই এসএসসি-কর্তা।