প্রতীকী ছবি।
মেধা তালিকায় নাম উঠেছিল পাঁচ বছর আগে। তবু স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পাননি মালদহের মিঠু মণ্ডল। সেই আশা পূরণের আগেই শুক্রবার পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি। বছর উনত্রিশের এই চাকরিপ্রার্থীর মৃত্যুর পরে ফের সামনে উঠে এসেছে স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি।
চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে বারবার ধর্নায় বসলেও চাকরির জট খোলেনি। মিঠুর বাড়ি মালদহের আকন্দবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগরে। মাস দুয়েক ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। তাঁর দিদি শম্পা মণ্ডল বলেন, ‘‘মিঠু অসুস্থ ছিল। প্রায় দু’মাস ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। শুক্রবার দুপুরে হার্ট ফেল করে মারা গিয়েছে।’’
মিঠুর পরিবার জানিয়েছে, তাঁর বাবা সুকেশ মণ্ডল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন তিনি। ছ’বোনের মধ্যে মিঠুই সবার ছোট ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩২ দিন ধরে ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না-অবস্থান করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ১৮ দিন আগে অনশনও শুরু হয়েছে। মিঠুর মৃত্যুর পরে চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চাকরি না পাওয়ার হতাশা থেকেই মিঠু অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ধর্নায় বসা মোয়াজ্জেম হোসেন নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “মিঠু রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একাদশ-দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থী ছিল। ও গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আমাদের ধর্না মঞ্চে এসেছিল। দিন কয়েক ছিল। চাকরি পাওয়া নিয়ে খুবই উদ্বেগে ভুগছিল।’’ তিনি জানান, দিন দুয়েক আগেও মিঠুর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়। তখনও চাকরি না পাওয়ার হতাশা ফুটে উঠেছিল মিঠুর গলায়।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার শনিবার বলেন, “নবম থেকে দ্বাদশের প্রার্থীদের নিয়োগের বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। অনেকগুলি মামলা রয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে। ওঁদের সঙ্গে দফায়-দফায় বৈঠকও করেছি।’’