West Bengal SSC Scam

৮০০-র বেশি শিক্ষকের চাকরি যাওয়ার মুখে! দুর্নীতি ‘কবুল’ করে সুপারিশ বাতিলের পথে কমিশন

২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক হিসাবে যে তালিকা প্রকাশ হয় তাতে নাম ছিল ৯৫২ জনের। খতিয়ে দেখা যায় তার মধ্যে ৮০০ জনেরও বেশি ‘অযোগ্য’। এ বার তাঁদের নিয়োগপত্র বাতিল করবে কমিশন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৪৩
Share:

৮০০ জনেরও বেশি শিক্ষককে দেওয়া সুপারিশপত্র ফিরিয়ে নিতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। — প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের ৮০০-এরও বেশি স্কুলশিক্ষকের চাকরি যাওয়ার পথে। দুর্নীতির কথা কার্যত ‘কবুল’ করে এ কথা জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট আইন মেনে ২০১৬-এর নবম-দশমের নিযুক্ত শিক্ষকদের তালিকা থেকে ‘অযোগ্য’ ৮০০-এরও বেশি শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে পর্যায়ক্রমে। আগামী সপ্তাহেই জারি হবে এই সংক্রান্ত নোটিস।

Advertisement

২০১৬ সালে এসএসসির নবম-দশম শ্রেণির চাকুরিপ্রার্থীদের তালিকায় ছিল মোট ৯৫২ জনের নাম। সেই তালিকায় বহু লোকের ক্ষেত্রে সার্ভার এবং ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরের ব্যাপক ফারাক ধরা পড়েছে। এসএসসি সূত্রে খবর, কারও কারও নম্বরের ফারাক ৫৩। সেই তালিকা দেখে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এসএসসিকে প্রশ্ন করেছিলেন, এঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে কমিশন? বৃহস্পতিবার সেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথাই জানানো হল এসএসসির তরফে। এর মাধ্যমে দুর্নীতি যে হয়েছিল, ঠারেঠোরে তা-ও মেনে নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, কমিশনের আইনের ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে নিয়োগপত্র বাতিল ঘোষণা করবে এসএসসি। হলফনামা দিয়ে এসএসসি আদালতকে জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। পর্যায়ক্রমে ৮০০ জনেরও বেশি শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হবে।

Advertisement

এ যাবৎকালে এক ধাক্কায় একসঙ্গে এত লোকের চাকরি যেতে দেখেনি বাংলা। কিন্তু আদালতের নির্দেশ মেনে এসএসসি পর্যায়ক্রমে আট শতাধিক শিক্ষকের নিয়োগপত্র বাতিল করতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের বিধিতে আছে ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে সুপারিশপত্র বাতিল করা যায়। ৮ তারিখ এই মর্মে আদালতে হলফনামা জমা দিই। সেখানে আমরা জানিয়েছি, এই প্রক্রিয়া আমরা অবশ্যই শুরু করতে রাজি আছি। ৮০০-এর সামান্য বেশি সংখ্যাটি আমরা পেয়েছি যাদের সুপারিশপত্র বাতিল করতে পারি আমরা। নোটিস দিয়ে কাজ শুরু করব আগামী সপ্তাহ থেকে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement