খড়্গপুর মহকুমার স্কুলগুলির জন্য দুয়ারে রেশন প্রকল্পে ঘর বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি। নিজস্ব চিত্র।
দুয়ারে রেশন প্রকল্পের জন্য স্কুলের ঘর কাজে লাগানো হবে। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে এমনই কথা প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি উচ্চশিক্ষা দফতরের জেলা পরিদর্শকের অফিস থেকে খড়্গপুর মহকুমার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিটি পাঠানো হয়েছে ওই মহকুমার অধীন উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এবং মাদ্রাসাগুলিতে। তাতে বলা হয়েছে, স্কুলের একটি করে ঘর দুয়ারে রেশন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করতে হতে পারে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কুলে কোনও অতিরিক্ত ঘর থাকলে, তা দিতে হবে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের জন্য। সেখানেই রাখা হবে প্রকল্পের মালপত্র। সেই ঘর থেকেই স্থানীয় এলাকায় প্রকল্পের মালপত্র বিলি করা হবে। তবে স্কুলে এমন খাদ্যশস্য মজুত রাখা যায় কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ২১ জুলাই মহকুমা পর্যায়ের ডেভেলপমেন্ট মনিটরিং কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। তবে গোটা প্রক্রিয়াকেই অস্থায়ী বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সব স্কুলের ক্ষেত্রে ওই বিজ্ঞপ্তিটি প্রযোজ্য নয়। যাদের বড় বিল্ডিং রয়েছে, পর্যাপ্ত কাজের জায়গা আছে, কেবল মাত্র সেই স্কুলকেই এ কাজে ব্যবহার করতে হবে। তা ছাড়া স্কুল যেমন সমাজে গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই রেশন ব্যবস্থাও জরুরি বিষয়। তাই বিষয়টিকে তির্যক চোখে না দেখাই ভাল।’’ অপর দিকে, শিক্ষক সংগঠন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘শিক্ষাক্ষেত্রকে যদি রেশন পরিষেবার কাজে ব্যবহার করা হয়, তা হলে তো স্কুলে শিক্ষার পরিবেশই নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ, স্কুলের ভিতরেই যদি রেশনের মাল নিয়ে যাতায়াত করা হয়, তা হলে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা কঠিন হবে।’’