ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন। ফাইল চিত্র।
এক দিকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশ এবং অন্য দিকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাবি। মাঝখানে পড়ে উভয়-সঙ্কটে প্রধান শিক্ষকেরা। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা স্কুলপ্রধানদের জানিয়েছেন, ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার দাবি না-মিটলে পঞ্চায়েত ভোটের কাজে তাঁদের নাম জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো যাবে না। অথচ জেলা প্রশাসন পঞ্চায়েত ভোটের জন্য স্কুলপ্রধানদের কাছে শিক্ষকদের তথ্য চাইছে। তথ্য না-দিলে স্কুলপ্রধানদের জবাবদিহি করতে হবে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা কিঙ্কর অধিকারী বৃহস্পতিবার বলেন, “ভোটকর্মী হিসেবে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং সরকারি কর্মচারীদের পিপি২-এর মাধ্যমে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা স্কুল-সহ সব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের অনুরোধ করছি, কোনও ভাবেই এই তথ্য প্রশাসনের কাছে পাঠাবেন না।’’
স্কুলপ্রধানদের একাংশের বক্তব্য, তাঁরা নাম পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ স্কুলের প্রশাসনিক কাজের সিদ্ধান্ত তাঁদেরই নিতে হয়। অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের তরফে চন্দন মাইতি বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকেরা জানতে চাইছেন, তাঁরা কী করবেন। সংগঠনের প্রধান শিক্ষকদের বলেছি, আমরা মঞ্চের শিক্ষকদের পাশে আছি। আন্দোলনের পাশে তাঁরাও যেন থাকেন। তথ্য না-পাঠালে প্রশাসন কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”
কর্মচারী সংগঠনগুলির নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, আন্দোলন হতে পারে। কিন্তু ভোটের কাজ করব না, এটা বলা সম্ভব নয়। এটা সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। সরকারি ব্যবস্থাপনায় যে-কোনও কর্মচারীকে সেই দায়িত্ব পালন করতেই হয়। ফলে সেই প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকার উপায় নেই।