Hostel

School Hostels: হস্টেল সারাই কী ভাবে, চিন্তা স্কুল কর্তৃপক্ষের

প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি জানাচ্ছেন, ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবন সংলগ্ন স্কুল ও হস্টেলগুলির বেশি ক্ষতি হয়েছে। অনেক ছাত্রাবাসেরই দরজা-জানলা ভাঙা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:৫৬
Share:

হস্টেলের শোচনীয় অবস্থা। —ফাইল চিত্র।

শুধু তো অতিমারি নয়, গত দু’বছরে সাধারণ ঝড়বৃষ্টির মতো দুর্যোগের পাশাপাশি ছিল ঘূর্ণিঝড়। সেই সব বিপর্যয়ের অভিঘাতে এবং দীর্ঘকালীন অব্যবহারে বিভিন্ন স্কুলবাড়ির মতো বহু হস্টেল বা ছাত্রাবাস ভবনের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। অথচ স্কুলের সঙ্গে হস্টেল খোলার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে, করোনা বিধি মেনে কী ভাবে হস্টেল খোলা যাবে, তা স্কুল-কর্তৃপক্ষকেই ঠিক করতে হবে। গ্রামাঞ্চলের অনেক স্কুলের কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন হস্টেল ভবনের পরিকাঠামোর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। অনেক পড়ুয়া হস্টেলে ফিরতে চাইছে। দ্রুত হস্টেল সারিয়ে কী ভাবে তাদের ঠাঁই দেওয়া যায়, এখন সেটাই তাঁদের বড় চিন্তা।

Advertisement

প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি জানাচ্ছেন, ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবন সংলগ্ন স্কুল ও হস্টেলগুলির বেশি ক্ষতি হয়েছে। অনেক ছাত্রাবাসেরই দরজা-জানলা ভাঙা। উড়ে গিয়েছে শৌচালয়ের টিনের ছাউনি। গত বছর কিছু দিনের জন্য নবম থেকে দ্বাদশ, চার শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুলেছিল। তখন হস্টেল খোলার কথা হলেও পড়ুয়ারা হস্টেলে আসেনি। এখন দূরের শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা হস্টেলে এসে প্রস্তুতি চালানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের অনেকেই হস্টেলে থেকে মাধ্যমিক দিতে চায়। চন্দনবাবু বলেন, “শুধু জানলা-দরজা মেরামত করলেই তো হবে না। করোনার জন্য ঝাড়ুদার রেখে নিয়মিত হস্টেল সাফসুতরো করা দরকার। হস্টেলের আবাসিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু দিন আগে স্কুলে পরিকাঠামোর উন্নয়নে শিক্ষা দফতর যে-টাকা দিয়েছিল, সব স্কুল তা পায়নি। কিছু স্কুলকে যতটুকু টাকা দেওয়া হয়েছে, স্কুল মেরামত করার পক্ষে সেটা যথেষ্ট নয়। এই অবস্থায় সরকার হস্টেলগুলির পরিচালন ও পরিকাঠামোর ব্যয়ভার না-নিলে ওই সব ছাত্রাবাস মারাত্মক সঙ্কটে পড়বে।”

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে-সব হস্টেল স্কুল-চত্বরে রয়েছে, সেগুলির অবস্থা মন্দের ভাল। কিন্তু স্কুলের চৌহদ্দির বাইরে থাকা ছাত্রাবাসগুলির অবস্থা খুব খারাপ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পশং হাইস্কুলের শিক্ষক কিঙ্কর অধিকারী জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় হস্টেলের অবস্থা খুবই খারাপ। কিঙ্করবাবু বলেন, “স্কুলের ১০-১২ জন পড়ুয়া হস্টেলে থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চাইছে। এই অবস্থায় কী ভাবে তাদের
রাখা হবে, সেটাই চিন্তার। হস্টেলের ঘরে রাখতে না-পারলে কোনও ক্লাসরুমে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেই বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে।”

Advertisement

মুর্শিদাবাদের লালগোলার ডিহিপাড়া খাদের আলি মেমোরিয়াল স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রেজ্জাক জানান, তাঁদের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য হস্টেলের ব্যবস্থা আছে। আসন ৫০টি। হস্টেলে থাকার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয় আর্থিক ভাবে দুর্বল পরিবার থেকে আসা মেধাবী ছাত্রীদের। চাহিদা ব্যাপক। দ্রুত আসন ভর্তি হয়ে যায়। বছর হস্টেল বন্ধ থাকায়
দরজা-জানলা, শৌচালয় সারানো দরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement