আসানসোলের একটি স্কুলে লজেন্স দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র।
বারাসত গার্লস স্কুলে তাপমাত্রা মেপে ঢোকানো হয়েছে ছাত্রীদের। ঢোকানোর সময় প্রত্যেক ছাত্রীর হাতে একটি করে স্যানিটাইজারের বোতল তুলে দেওয়া হয়েছে।
বারাসত গার্লস স্কুলে ছাত্রীদের দেওয়য়া হচ্ছে স্যানিটাইজারের বোতল। নিজস্ব চিত্র।
বারাসত গাঁধী স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক। নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্কুলে পথে পা বাড়িয়েছেন নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেনির পড়ুয়ারা। মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালক এবং বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে দেখা গেল মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসক সৌমেন খানকে। স্কুল পড়ুয়াদের হাতে ফুল তুলে দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।
পড়ুয়াদের স্বাগত জানাচ্ছেন মেদিনীপুরের পুরপ্রশাসক। নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার থেকে খুলেছে মেদিনীপুর শহরের সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল। তাপমাত্রা পরীক্ষা করে স্যানিটাইজ করে তবেই অধিকাংশ স্কুলে ঢোকানো হয়েছে পড়ুয়াদের।
বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালক স্কুলে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে ঢোকানো হচ্ছে পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র।
রানিগঞ্জ বল্লভপুর রামগোপাল সরাফ বিদ্যাপীঠে ঢোকার আগে হাত স্যআনিটাইজ করতে হচ্ছে ছাত্রীদের। নিজস্ব চিত্র।
হুগলির সুগন্ধা হাইস্কুলে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ক্লাস। অনেক ছাত্রী উপস্থিত হয়েছে। সকলের মুখে মাস্ক থাকলেও ক্লাসের মধ্যে দূরত্ববিধির চিত্র চোখে পড়েনি।
হুগলির সুগন্ধা হাই স্কুলে শুরু হয়েছে ক্লাস। নিজস্ব চিত্র।
হুগলির কলেজিয়েট স্কুলেও ছাত্রদের উপস্থিতি নজর কেড়েছে। দীর্ঘদিন পর সহপাঠীদের কাছে পেয়ে স্কুলচত্বরেই আড্ডায় মেতেছে ছাত্ররা।
হুগলি কলেজিয়েট স্কুলে ছাত্ররা। নিজস্ব চিত্র।
আসানসোলের ধাদকা নারায়ণ চন্দ্র লাহিড়ী বিদ্যামন্দিরে সকাল থেকে দেখা গিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি। দূরত্ববিধি বজায় রেখে স্কুলে ঢোকার সময় পড়ুয়াদের লজেন্স দিয়েছেন শিক্ষকরা।
আসানসোলের স্কুলে দেওয়া হচ্ছে লজেন্স। নিজস্ব চিত্র।
আসানসোলের ধাদকা নারায়ণ চন্দ্র লাহিড়ী বিদ্যামন্দির খুলেছে মঙ্গলবার। স্কুল খুলতেই ছাত্র-ছাত্রীরা এসেছে স্কুলে। তবে স্কুলে ঢোকার মুখে দূরত্ববিধি মেনে দাঁড় করানো হয়েছিল পড়ুয়াদের। সকলের মুখেই ছিল মাস্ক।
ধাদকা নারায়ণ চন্দ্র লাহিড়ী বিদ্যামন্দিরের পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণ কলকাতার মহাঋষি বিদ্যামন্দিরের বাইরে দেখা গেল স্কুলের মাঠে নির্দিষ্ট দূরত্ববিধি মেনে চলছে প্রার্থনা। স্কাস ঘরে ফিরতে পেরে খুশি পড়ুয়ারাও।
ছাত্রদের ক্লাসঘরে পেয়ে আমরা অত্যন্ত খুশি। পড়াশোনা এবং তাদের স্বাস্থ্যের দিকে সব সময় নজর দেওয়া হবে। স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। বললেন শিলিগুড়ি বয়েজের প্রধান শিক্ষক উৎপল দত্ত।
স্কুল খুললেও স্কুলের রান্না করা মিড ডে মিল দেওয়া হবে না পড়ুয়াদের। অতিমারি পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবেই মিড ডে মিল বন্ধ রাখা হয়েছে। অবশ্য মিড ডে না দিলেও আগের মতোই মিলের সরঞ্জাম বাড়িতে দিয়ে দেওয়া হবে।
রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনে দেখা যাচ্ছে পড়ুয়াদের উপস্থিতি। শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুল থেকে কলকাতার লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজ— সর্বত্র এক ছবি। মঙ্গলবার দূরত্ববিধি মেনে দাঁড়িয়েছিলেন ছাত্রীরা। গেটের সামনে থার্মাল গানের মাধ্যমে তাপমাত্রা মেপে তবেই স্কুল-কলেজে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন পড়ুরা।
দক্ষিণ কলকাতার ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুলে ক্লাসরুমের মধ্যেই কোভিডবিধি মেনে চলল প্রার্থনা।
ক্লাস শুরু আধ ঘণ্টা আগে স্কুলে উপস্থিত হতে হবে পড়ুয়াদের। শিক্ষা দফতরের সাম্প্রতিক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুলের গেটে তিন জনকে অবশ্যই মোতায়েন করতে হবে। পড়ুয়ারা মাস্ক পরে এসেছে কি না, জীবাণুনাশের কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, সেগুলো দেখার পাশাপাশি মাপতে হবে পড়ুয়াদের শরীরের তাপমাত্রা।
ক্লাসঘরে চলছে জীবাণুনাশের কাজ।
স্কুল খোলা হলেও হাজিরার ব্যাপারে কড়াকড়ি করা হবে না বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য আগে, তাই স্কুলে হাজিরার ব্যাপারে জোরাজুরি করা হবে না।
কলকাতার বেসরকারি স্কুলগুলিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্লাসঘরে বসানো হয়েছে পড়ুয়াদের। ক্লাসঘরে একে অপরের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনেই বসানো হচ্ছে। কিন্তু এই দূরত্ববিধি কী রাজ্যের সমস্ত স্কুলে মেনে চলা সম্ভব হবে? অতিমারির স্বাস্থ্যবিধি মেনে কত দিন ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে? সে প্রশ্নও উঠছে।
স্কুল খোলায় খুশি পড়ুয়াদের একাংশ। তারা জানিয়েছেন, স্কুল খোলায় তারা খুশি। অনেক দিন পর ফের স্কুলে আসতে পেরে আনন্দের কথা গোপন করেননি তারা।
কলকাতার একটি স্কুলে। নিজস্ব চিত্র।
দেড় বছর পর স্কুলে আসতে পারছেন পড়ুয়ারা। দীর্ঘদিন পর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তাঁরা। পড়ুয়াদের এত দিন পর কাছে পেয়ে খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। অনেক বেসরকারি স্কুল তাই কলম বা ফুল দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে পড়ুয়াদের।
স্কুলের পাশাপাশি খুলছে কলেজ। বেথুন, স্কটিশ চার্চ, বঙ্গবাসী, আশুতোষের মতো কলেজগুলি খুলে যাচ্ছে। কলেজের পাশাপাশি যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ও খুলছে। তবে সপ্তাহে সব দিন ক্লাস হবে না কলেজগুলিতে। কোন দিন কোন বিভাগের ক্লাস, তা ঠিক করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষয় কলেজে ক্লাস করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ কলেজই জোর দিয়েছে টিকাকরণে। একটি টিকা নেওয়া থাকলেই ক্লাস করা যাবে কিছু কলেজে। কিছু কলেজে ক্লাস করতে গেলে টিকার দু’টি ডোজ বাধ্যতামূলক।