মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ তফসিলি আইনে

জেলা প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির আর্থিক নিরাপত্তা দিতে সরকার যে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে, তা কমিশনকে জানানো হয়েছে। দেবদাসের খোঁজ চালাতে এবং অপরাধীদের হেফাজতে নিতে পুলিশ যে তৎপর, তা-ও ব্যাখ্যা করেছেন আধিকারিকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৯ ০১:২০
Share:

বিজেপি কর্মী দেবদাস মণ্ডলের (ইনসেটে) শোকগ্রস্ত পরিবার। ফাইল চিত্র।

সন্দেশখালির ঘটনায় নিখোঁজ দেবদাস মণ্ডলের হদিস পেতে পুলিশ প্রশাসন কী করছে, তা জানতে চাইল জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান রামশঙ্কর কাটারিয়া উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে তলব করেছিলেন। কমিশনের চেয়ারম্যান তাঁদের কাছে সন্দেশখালির বর্তমান পরিস্থিতি, নিহতের পরিবারগুলির আর্থিক নিরাপত্তা, দেবদাসের খোঁজে প্রশাসনের তৎপরতা এবং ওই এলাকায় তফসিলি জাতির মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছিলেন।

Advertisement

জেলা প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির আর্থিক নিরাপত্তা দিতে সরকার যে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে, তা কমিশনকে জানানো হয়েছে। দেবদাসের খোঁজ চালাতে এবং অপরাধীদের হেফাজতে নিতে পুলিশ যে তৎপর, তা-ও ব্যাখ্যা করেছেন আধিকারিকেরা। সরকারি সূত্রের খবর, কমিশনকে প্রশাসন জানিয়েছে, এই তথ্য পেয়েই মৃতদের পরিবারকে ৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দফতর। ইতিমধ্যেই নিহত পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের অর্ধেক টাকা জমাও দেওয়া হয়েছে। পরিবারগুলির জন্য পেনশনের ব্যবস্থাও করেছে সরকার।

সরকারি সূত্রের খবর, গত ৮ জুন রাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে সন্দেশখালিতে চার জন মারা যান। এদের মধ্যে প্রদীপ মণ্ডল, তপন মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল বিজেপির কর্মী। কায়ুম মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীও সেদিন মারা যান। বিজেপির তিন কর্মীই তফসিলি জাতিভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে জাতীয় কমিশনে অভিযোগ জমা পড়ে। গত ১৪ জুন রামশঙ্কর সন্দেশখালি গিয়ে তদন্ত করেন। তিনটি পরিবারই তফসিলি জাতিভুক্ত হওয়ার শংসাপত্র পেশ করে। এর পরই রাজ্যকে পাঠানো সুপারিশে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানায় কমিশন।

Advertisement

তফসিলি জাতিভুক্ত কেউ অন্য সম্প্রদায়ের আক্রমণে মারা গেলে ক্ষতিপূরণ পায় সেই পরিবার। সেই কেন্দ্রীয় আইন মেনেই সন্দেশখালির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement