প্রতীকী ছবি।
দূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে ‘দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম’ (এসবিএসটিসি) সিএনজি (কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) চালিত বাস চালানো শুরু করেছে। ডিজেলের ব্যবহার কমিয়ে ধীরে ধীরে সব বাসই
সিএনজি-তে চালাবে ওই সংস্থা। ২০২৫ সালকে সামনে রেখে ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ তৈরি করেছে এসবিএসটিসি। কলকাতার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের এবং জঙ্গমহলের সব জেলার বাস পরিষেবা আরও উন্নত করা হবে বলে নিগম সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই নিগম ৬০টি সিএনজি চালিত বাস কিনেছে। আরও ২০টি বাস কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। আসানসোল ও দুর্গাপুরে তৈরি করা হচ্ছে দু’টি সিএনজি স্টেশন। রাজ্য সরকার তার অনুমোদন দিয়েছে।
এসবিএসটিসি-র এক শীর্ষ কর্তা জানান, আসানসোল থেকে কলকাতা, বীরভুম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ার মধ্যে কয়েকটি সিএনজি চালিত বাস চলাচল করছে। সিএসটিসি, ভূতল পরিবহণ এখনও সিএনজি চালিত বাস পরিষেবা দিয়ে উঠতে পারেনি। রাজ্যে প্রথম সিএনজি বাস চালানো শুরু করেছে এসবিএসটিসি।
‘ভিশন ২০২৫’ শিরোনামে সম্প্রতি একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছে এসবিএসটিসি। সেই পুস্তিকাতে কাজের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। সংস্থার এক কর্তা জানান, সিএনজি বাস কেনার পর দূষণ কমেছে। কমেছে শব্দ দূষণও। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বেড়েছে। ডিজেল চালিত বাসে যতটা পথ (মাইলেজ) যাওয়া যায়, তার থেকে কিছুটা বেশি পথ যেতে পারছে সিএনজি চালিত বাস। কমেছে খরচও। নিগমের ওই কর্তা জানান, ধাপে ধাপে সব বাসই সিএনজি চালিত হবে। এখন বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে সিএনজি গ্যাস কিনে বাস চালানো হচ্ছে। নিগমের চেয়ারম্যান তমোনাশ ঘোষ বলেন, ‘‘মূলত দূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতেই সিএনজি চালিত বাস চলবে। গত বছর সিএনজি চালিত ৪০টি বাস কেনা হয়েছে। সিএনজি ভরার জন্য দু’টি স্টেশন খোলার প্রস্তুতি চলছে। তমোনাশবাবু জানান, তিনি নিগমের দায়িত্ব নেওয়ার পর সংস্থার আয় ছিল বছরে ৬৪ কোটি টাকা। তা বেড়ে ২০০ কোটি টাকা হয়েছে। আগে ৪৩৫টি বাস ছিল। এখন বেড়ে হয়েছে ৮৫০টি। আগে নিগম ৬৫টি রুটে বাস চালাত। এখন ১৪২টা রুটে বাস চলে। বর্তমানে জঙ্গমহলের জন্য নতুন একটি ‘ডিভিশন’ হয়েছে।