ফাইল চিত্র
অভিযোগ যদি প্রমাণিতও হয়, তা হলেও সংশ্লিষ্ট মামলার ধারা অনুযায়ী সর্বাধিক শাস্তি সাত বছরের জেল। সেই সময়কাল ইতিমধ্যে পেরিয়ে তো গিয়েছেই। তার উপরে আরও ১১ মাস জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র মামলা থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করলেন বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন।
বিচার ভবনে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে সোমবার এই মর্মে আবেদন করেছেন সুদীপ্তের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী। ওই আইনজীবীর বক্তব্য, প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং (পিএমএল) আইনের ধারায় ২০১৩ সালের অক্টোবরে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল ইডি। সেই ধারায় সর্বাধিক শাস্তি সাত বছর জেল। ওই মামলায় ২০১৫ সালে জামিনও মঞ্জুর করেছিল আদালত। কিন্তু অন্য কয়েকটি মামলার দরুন জেল থেকে ছাড়া পাননি সুদীপ্ত। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে প্রায় আট বছর।
আমানতকারীদের জমা দেওয়া বিপুল অর্থ তছরুপের মামলায় ২০১৩ সালে সারদা-প্রধান সুদীপ্ত এবং তাঁর সংস্থার অন্যতম কর্ত্রী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে কাশ্মীরে গ্রেফতার করা হয়। তার পরে সুদীপ্তের বিরুদ্ধে মামলা করে ইডি-ও। অভিযোগ, সেই মামলার বিচার প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু আইন অনুযায়ী শাস্তির সর্বাধিক মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই ওই মামলা থেকে অব্যাহতি চাইছেন
সুদীপ্ত। এ দিন ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইডি-র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র বলেন, "সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমি পরবর্তী শুনানিতে অংশ গ্রহণ করব।" বিচারক আগামী ৪ অক্টোবর ইডি-র ওই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এটি একটি বৃহত্তর আর্থিক দুর্নীতির মামলা। তার তদন্ত এখনও চলছে। পরবর্তী পর্যায়ে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হতে পারে। শুনানির দিন বিস্তারিত ভাবে সব কিছুই আদালতের সামনে তুলে ধরা হবে।