প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে দুই দিন ব্যাপী কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আগামী মঙ্গল এবং বুধবার অর্থাৎ ১০ এবং ১১ অক্টোবর এই কর্মবিরতি পালন করবেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। পুজোর আগে ডিএ-সহ চার দফা দাবিতে ফের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই দু’দিনের কর্মবিরতির কথা ঘোষণা করেছিলেন মঞ্চের সদস্যরা। যে চারটি দাবিকে কেন্দ্র করে তাঁরা কর্মবিরতি পালন করবেন সেগুলি হল— প্রথম, কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) দিতে হবে। দ্বিতীয়, রাজ্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদে স্বচ্ছ ও স্থায়ী নিয়োগ করতে হবে। তৃতীয়, প্রতিহিংসামূলক বদলি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। চতুর্থ দাবি হিসেবে যোগ্য অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ী পদে নিয়োগ করতে হবে। কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি ঘোষণার দু’দিন আগে অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁরা এই দাবিগুলি নিয়েই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দাবিগুলি লিখিত আকারে তাঁর হাতে তুলেও দিয়ে এসেছিলেন।
কর্মসূচির আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘‘পুজোর মরসুমে কেন্দ্রীয় সরকার আরও এক দফায় ডিএ দেওয়ার কথা ভাবছে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র পার্থক্য হয়ে দাঁড়াবে প্রায় ৪০ শতাংশ। সেই ডিএ-র দাবিতেই আমরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।’’ তৃণমূল সমর্থিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন সংগঠনের পক্ষ থেকে এই কর্মবিরতির নিন্দা করা হয়েছে। ফেডারেশনের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক বলেন, ‘‘আমরা এই কর্মবিরতির ঘোরতর বিরোধিতা করছি। আমাদের সংগঠনে সদস্যরা সকলেই ওই দিনগুলিতে কর্মবিরতির ষড়যন্ত্র ভেঙে রাজ্য প্রশাসনকে সক্রিয় রাখবেন।’’
এ বছরের শুরুতেই দফায় দফায় কর্মবিরতি ও প্রশাসনিক ধর্মঘটে শামিল হয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩, ২০, ২১ তারিখে রাজ্য জুড়ে সরকারি অফিসগুলিতে কর্মবিরতি পালন করেছিলেন তাঁরা। আবার ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘটেও শামিল হয়েছিলেন। ৬ এপ্রিলও কর্মবিরতি পালন করেছিলেন তাঁরা। ফের আরও এক বার দু’দিন ব্যাপী কর্মবিরতি পালন করবেন তাঁরা।