লাঠি-ঝাঁটা হাতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে চড়াও মহিলারা। ছবি: সংগৃহীত।
অজিত মাইতির পর এ বার সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য শঙ্কর সর্দার। সোমবার বেড়মজুরের শাসক নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালালেন বিক্ষোভকারী মহিলাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, আদিবাসীদের জমি দখল, জব কার্ডের টাকা আত্মসাৎ করেছেন শঙ্কর। অনেকের স্বামীকে খুনেরও হুমকি দিয়েছিলেন।
যদিও এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শঙ্করের কন্যা। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, বিক্ষোভকারী মহিলারা যখন বাড়িতে এসে শঙ্করের খোঁজ করেছিলেন, তখনই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, বাবা বাড়িতে নেই। তার পরেও বিক্ষোভকারীরা বাড়িতে ভাঙচুর চালান।
সোমবার সকালে বেড়মজুরের তৃণমূল নেতা হলধর আড়ির বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। এ বার হামলা চলল পঞ্চায়েত সদস্য শঙ্করের বাড়িতে। বেলার দিকে গ্রামের এক দল মহিলা লাঠি-ঝাঁটা-জুতো হাতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ঢুকে পড়েন। অভিযোগ, বাড়িতে তাঁকে না পেয়ে ভাঙচুর করতে শুরু করেন তাঁরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ আধিকারিকেরা বাধা দিতে গেলে বচসা শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে। পুলিশের তরফে বার বার সতর্ক করা হয়, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, শঙ্করকেও গ্রেফতার করতে হবে। অজিতদের সঙ্গে মিলে শঙ্করও তাঁদের উপর অত্যাচার করতেন।
রবিবারই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অজিত। গণপিটুনির ভয়ে অন্যের বাড়িতে ঢুকে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সেখানে আটকে থাকার পর সন্ধ্যায় তাঁকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। সোমবার সকালে গ্রেফতার হন অজিত। এর পরেই খবর মেলে, বেড়মজুরে অজিতের জায়গায় যাঁকে দায়িত্ব দিয়েছিল শাসকদল তৃণমূল, সেই হলধর আড়ির বাড়িতেও সোমবার সকালে হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। তাঁর বাড়ি সংলগ্ন খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ বার হামলার মুখে পড়লেন শঙ্কর।