জাল সিবিআই কৌঁসুলি সনাতন রায়চৌধুরী হুগলিতেও প্রতারণার জাল বিছিয়েছিলেন। উত্তরপাড়ায় তিনি ও তাঁর এক সঙ্গী একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খুলেছিলেন। সেখানে সন্দেহজনক কার্যকলাপ চলত বলে অভিযোগ করেছেন সংস্থার এক প্রাক্তন সদস্য। তিনি এ-ও বলেছেন, মানবাধিকার রক্ষার নামে সংস্থার এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্যদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলতেন সনাতনরা।
উত্তরপাড়ার ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির নাম 'ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব হিউম্যান অ্যান্ড ফান্ডামেন্টাল রাইটস'। জাল সিবিআই কৌঁসুলি সনাতন ওই সংস্থার সভাপতি ছিলেন। আর সম্পাদক ছিলেন সংগ্রাম মিত্র। সংস্থার ওই প্রাক্তন সদস্য জানিয়েছেন, সংগ্রামও ভুয়ো পরিচয়ে ওই সংস্থা চালাতেন। বাঁকুড়ার বিশ্বজিৎ সাঁতরা নাম বদল করে সংগ্রাম মিত্র হন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির ওই প্রাক্তন সদস্যের নাম সাক্ষী ঘোষহাজরা। তিনি উত্তরপাড়ারই বাসিন্দা একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবার সমাজকর্মীও। তাঁর অভিযোগ, মানবাধিকার রক্ষার নামে লোক ঠকানোর কারবার চলত ওই সংস্থায়। কার্যকলাপ দেখে আগেই সন্দেহ হয়েছিল তাঁর। পরে সনাতন ধরা পড়ায় তিনি নিশ্চিত হন।
দু’বছর আগে এক হাজার টাকার বিনিময়ে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য হয়েছিলেন সাক্ষী। তবে কিছুদিনের মধ্যেই তাঁদের কার্যকলাপ দেখে সন্দেহ হওয়ায় টাকা ফেরত নিয়ে ওই মানবাধিকার সংগঠন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।