দুর্গাপুরে সুচেতা চক্রবর্তীর বাড়িতে ফের তল্লাশি চালাল পুলিশ। বুধবার তল্লাশি শেষে বাড়িটি ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। ছবি: বিকাশ মশান।
ব্যাঙ্কের কাগজপত্র খুঁজতে গিয়ে আলমারি থেকে মিলেছিল একটি প্রেসক্রিপশন। দুর্গাপুরে সুচেতা চক্রবর্তীর আবাসনে মেলা সেই প্রেসক্রিপশনের সূত্র ধরে উঠে এল নতুন তথ্য। গত নভেম্বরে সুচেতা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালের এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে তাঁর গর্ভপাতের ব্যবস্থা করেন সমরেশ সরকার।
সুচেতা ও তাঁর মেয়ে দীপাঞ্জনার টুকরো করা দেহ ব্যাগে ভরে মাঝগঙ্গায় ফেলতে গিয়ে ২৯ অগস্ট শেওড়াফুলিতে ধরা পড়েন দুর্গাপুরের ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সমরেশ। খুনের মামলায় ১২ দিন শ্রীরামপুরে পুলিশ হেফাজতে থাকার পরে এখন জেলে আছেন সমরেশ। বুধবার শ্রীরামপুর থানার একটি দল দুর্গাপুরে সমরেশের ব্যাঙ্ক ও সুচেতার আবাসনে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কে সুচেতা ও সমরেশের যাবতীয় নথি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সুচেতা ছাড়া আর এক তরুণীর সঙ্গে সমরেশের ঘনিষ্ঠতার কথা তদন্তে উঠে এসেছিল। এ দিন সেই তরুণীকে বিধাননগর ফাঁড়িতে ডেকে জেরা করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, সুচেতার কাছ থেকে সমরেশ যে সাত লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন, তা ওই তরুণীর অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার দিন বিকেলে নিজের স্কুটার তরুণীর ভাড়াবাড়িতে রেখে ব্যাগ কিনতে যান সমরেশ। এ দিন স্কুটারটি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
এ দিন সুচেতার আবাসনে তল্লাশির সময়ে পাসবই-সহ ব্যাঙ্কের কিছু কাগজ পাওয়া যায়। মেলে ওই প্রেসক্রিপশনও। পুলিশ পরে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সুচেতার ছবি দেখে চিনতে পারেন চিকিৎসক। পুলিশের দাবি, ওই ডাক্তার জানিয়েছেন, সুচেতা তাঁর কাছে চিকিৎসা করাতে আসতেন। থাকতেন সমরেশও। নভেম্বরে সুচেতা অন্তঃসত্ত্বা হলেও সন্তান চাননি। তাঁর আর্জি মেনে গর্ভপাত করানো হয় বলে পুলিশকে জানান ওই চিকিৎসক।