সমাপ্তি রুইদাস। —ফাইল চিত্র।
মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হবে না বলে জানালেন সমাপ্তি রুইদাসের বাবা সুকুমার রুইদাস। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা সুকুমারবাবু বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘দিন আনি দিন খাই। বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী, আরও দু’টি সন্তান রয়েছে। পুলিশের ডাকে যদি কলকাতায় ছুটতে হয়, তা হলে আমার দিনের টাকাটা মার যাবে। পরিবার না খেয়ে থাকবে।’’ যদিও কোতুলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘‘আর্থিক ও অন্য সব সাহায্য করব বলে ওই তরুণীর অভিভাবকদের আমরা জানিয়েছি। তার পরেও তাঁরা অভিযোগ করতে চান না শুনে অবাক লাগছে। সত্য উদ্ঘাটনের জন্য তাঁদের এগিয়ে আসা দরকার।’’
শনিবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের পাঁচ তলার বারান্দা থেকে উদ্ধার হয় নার্সিং প্রশিক্ষণের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সমাপ্তি রুইদাসের (১৮) ঝুলন্ত দেহ। হাসপাতালের তদন্ত কমিটি হাসপাতালের সুপারের কাছে রিপোর্ট দিয়েছে। সূত্রের খবর, তাতে উত্তর না-মেলা বেশ কিছু প্রশ্নের কথা বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি মনে করছে, সেগুলির উত্তর পেতে সমাপ্তির বাবা-মা এবং অন্য নিকটজনের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। কিন্তু পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ না হওয়ায় পুলিশ এগোতে চাইছে না।
সই-ছাড়া যে ‘সুইসাইড নোট’ -এ রয়েছে, সমাপ্তিকে পড়ানোর জন্য তাঁর বাবার পাঁচ লক্ষ টাকা দেনা হয়েছে। সরকারি নার্সিং স্কুলে পড়তে বিশেষ খরচ নেই। তার পরেও এত দেনা কেন, তার উত্তর পায়নি তদন্ত কমিটি। বৃহস্পতিবার সুকুমারবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘আমার তেমন কোনও দেনা হয়নি। তিরিশ হাজার টাকা মতো ধার হয়েছিল। মেয়ের মৃত্যুর পরে, মন্ত্রী কিছু অর্থ-সাহায্য করেছিলেন। সে টাকায় সুদ শোধ করে দিয়েছি। আসল শোধ করা এখনও বাকি।’’