বিধানসভায় শায়িত সাধন পাণ্ডের মৃতদেহ। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল নিমতলা শ্মশানঘাটে। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। তার আগে বিধানসভায় তাঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাও।
সাধন পাণ্ডেকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেমগুপ্ত এবং মিমি চক্রবর্তী। শ্রেয়াকে সমবেদনাও জানান এই দুই অভিনেত্রী।
বিরোধী গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল এবং খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ, সাধনের মরদেহে মাল্যদান করে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
রবিবার মুম্বইয়ে প্রয়াত হন রাজ্যের বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। রবিবার মুম্বইয়ে প্রয়াত হয়েছেন সাধন পাণ্ডে। রবিবার গভীর রাতে তাঁর দেহ এসে পৌঁছয় দমদম বিমানবন্দরে। সেখানে প্রয়াত সতীর্থর দেহ আনতে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। সাধনের দেহ রাতেই বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা পুরসভার নিজস্ব মর্গ ‘পিস ওয়ার্ল্ডে’। সাধন পাণ্ডের মৃত্যুতে সোমবার অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সাল থেকে আমৃত্যু বিধানসভার সদস্য ছিলেন তিনি। প্রথম বার বড়তলা বিধানসভার উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন সাধন। সেই থেকে শুরু। ২০২১ সালে মানিকতলা বিধানসভা থেকে শেষ বার জয় পান তিনি।
সোমবার দুপুর ১২টায় রাজ্যের বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের দেহ নিয়ে আসা হল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তাঁর সতীর্থরা। বিধানসভা থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে উত্তর কলকাতার বাসভবনে। সেখান থেকে নিমতলা শ্মশানে হবে তাঁর শেষকৃত্য।