—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিবাহবিচ্ছেদ ও দাম্পত্য কলহের আইনি জটিলতায় সন্তানের আশ্রয় এবং ভূমিকা নিয়ে খসড়া নির্দেশিকা তৈরি করেছে কলকাতা হাই কোর্টের রুল কমিটি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে তা জমা পড়েছে। আদালত সূত্রের খবর, বিচারপতি টন্ডন জানিয়েছেন যে এই খসড়া প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনমের কাছে যাবে এবং এই নির্দেশিকা কোর্ট গ্রহণকরবে কি না, তা তিনি-ই ঠিক করবেন। বিবাহবিচ্ছেদ এবং দাম্পত্য কলহ সংক্রান্ত মামলায় সন্তান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এই ধরনের পরিস্থিতিতে সন্তানদের অভিভাবকত্ব, আশ্রয় এবং তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশিকা চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাতুল রায় নামেএক ব্যক্তি।
আদালতের খবর, ২০২১ সালে এই মামলাটি হয়েছিল। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, এ ব্যাপারে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তৈরি গাইডলাইনকে প্রথম মান্যতা দিয়েছিল বম্বে হাই কোর্ট। পরবর্তীকালে হিমাচল প্রদেশ, কেরল, মধ্যপ্রদেশ,পঞ্জাব ও হরিয়ানা এবং কর্নাটক হাই কোর্ট-ও এই গাইডলাইনকে মান্যতা দিয়েছে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব হাই কোর্টের অরিজিনাল সাইডের ‘রুল মেকিং কমিটি’কে বিষয়টি বিবেচনা করে নির্দেশিকার কাঠামো গঠন করতে বলেন। তার পরে দু’বছর কেটে গেলেও সেই নির্দেশিকা তৈরি হয়নি। তাই মামলাকারী ফের কোর্টের দ্বারস্থ হন। তারপরেই এই খসড়া নির্দেশিকা জমা পড়ে।
উল্লেখ্য, শিশুদের নিয়ে কাজ করা ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার গাইডলাইনে মামলা চলাকালীন সন্তানের দেখভাল, মামলার নিষ্পত্তির পর সন্তানের ক্ষেত্রে ভূমিকা, স্বল্প দূরত্বে বসবাস করা বাবা-মায়ের উদ্দেশে নির্দেশিকা, দীর্ঘ দূরত্বে থাকা বাবা-মায়ের উদ্দেশে নির্দেশিকা, যৌথ অভিভাবকত্বে থাকা বাবা-মায়ের ভূমিকা, বাবা-মা ও সন্তানের মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়ন, আদালত নিযুক্ত পর্যবেক্ষকের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে বলে খবর।