—ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরের খরচ কত, জানতে চান বাম বিধায়ক আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর)।
সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে (আরটিআই) ভিক্টরের চিঠি পৌঁছেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনে। বাম বিধায়ক জানতে চেয়েছেন, ২০১১ সালের পর থেকে জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর কতগুলি প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে, বৈঠকগুলি কোথায় হয়েছে, বৈঠক আয়োজনে কত খরচ হয়েছে, সেই খরচ কোন খাত থেকে এসেছে প্রভৃতি। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল বলছেন, ‘‘চিঠির বিষয়টি মনে পড়ছে না!’’ জেলা প্রশাসনের অন্য এক পদস্থ আধিকারিক অবশ্য মানছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকগুলির খরচ জানতে চেয়েছে চিঠি এসেছিল। জবাবও দেওয়া হয়েছে।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি স্টেট পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারের দফতরে চিঠি জমা দেন বিধায়ক। সেখান থেকে চিঠি পশ্চিম মেদিনীপুরে আসে। উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ার ফব বিধায়ক ভিক্টর জানাচ্ছেন, শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, রাজ্যের ২৩টি জেলার জেলাশাসককেই চিঠি দিয়ে আরটিআইয়ের ৭.১ (আই) ধারায় মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের খরচ জানতে চেয়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেওয়া নিয়ম। ভিক্টরের দাবি, এক মাস হতে চলল। কেউ হিসেব দেননি।
প্রশাসনের সূত্রও মানছে, জবাবে খরচের হিসেব দেওয়া হয়নি। জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের সঙ্গে পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি প্রভৃতি দফতর, কালেক্টরেটের বিভিন্ন বিভাগও যুক্ত থাকে। এতগুলো দফতর যুক্ত থাকায় খরচের হিসেব সময়সাপেক্ষ।
ভিক্টর বলছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর জনস্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়। সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা হোক বা শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি, সবেতেই মুখ্যমন্ত্রী শূন্য কোষাগারের কথা বলেন। তা হলে উনি কেন জানাবেন না যে প্রশাসনিক সফরে তাঁর জন্য কত খরচ হচ্ছে।’’
বাম-শিবিরের এক সূত্র মনে করাচ্ছে, বিধানসভায় তৃণমূল সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে বাম-শিবিরের যে ক’জন বক্তা বিড়ম্বনায় ফেলেন, তাঁদের মধ্যে এই তরুণ বিধায়ক অন্যতম। ডাকনাম ভিক্টরেই শাসক-বিরোধী দুই শিবিরে তিনি বেশি পরিচিত। এর আগে বাম পরিষদীয় দলের তরফে তথ্য জানার অধিকার আইনেই মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের খরচ জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই হিসেবও জানা যায়নি। এ বার তথ্য না পেলে কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছেন ভিক্টর।