RSS

RSS on Agnipath: অগ্নিপথে যোগ দিতে উৎসাহ সঙ্ঘের

সামরিক প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষাকে স্কুলস্তরে অর্ন্তভুক্ত করার দাবি আরএসএসের বহু দিনের।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২২ ০৬:৩০
Share:

ফাইল ছবি

সামরিক প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষাকে স্কুলস্তরে অর্ন্তভুক্ত করার দাবি আরএসএসের বহু দিনের। এ বার অগ্নিপথ প্রকল্পে যোগ দিতে তরুণ এবং যুবকদের উৎসাহ দিতে মাঠে নেমে পড়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। সঙ্ঘ সূত্রের খবর, শুরুটা করা হয়েছে নিজেদের ঘর থেকে। সঙ্ঘের ‘ভাবধারায়’ বিশ্বাস করে বা সমর্থক এমন পরিবারের যুবকদের অগ্নিপথ প্রকল্পে যোগ দিতে প্রচার চালাচ্ছেন স্বয়ংসেবকরা। সঙ্ঘের একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এমনও বলছেন যে, সঙ্ঘের ‘সংস্কার যুক্ত’ পরিবারের ছেলেরা অগ্নিপথে বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

Advertisement

এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিরোধী দলগুলি এবার সেনাবাহিনীতে গৈরিকীকরণের অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে। যদিও বিজেপির পাল্টা বক্তব্য, যাঁদের যোগ্যতা আছে, তাঁরা যে কেউ অগ্নিপথ প্রকল্পে নাম লেখাতে পারেন। বিরোধীরাও সেই চেষ্টা করুন।

সঙ্ঘের একটি সূত্রের দাবি, অগ্নিপথে তরুণ এবং কিশোরদের প্রশিক্ষণের শুরুতেই দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানানো হবে। সম্রাট অশোক থেকে শিবাজীর মতো ‘হিন্দু রাজাদের’ সম্পর্কে পাঠও অগ্নিপথ প্রশিক্ষণে থাকা উচিত বলে দাবি সঙ্ঘের উত্তরবঙ্গের এক প্রচারকের। ওই সূত্রটির আরও দাবি, যত দিন না অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগ শুরু হচ্ছে, তত দিন শহর ও গ্রামে তাঁরা প্রচার চালাবেন। প্রথমে সঙ্ঘ সমর্থকদের বাড়ি গিয়ে, তার পরে সমাজমাধ্যমেও প্রচার চালানো হবে বলে সূত্রটির দাবি। জলপাইগুড়ির এক কার্যকর্তার কথায়, “আমাদের সমর্থক বা সঙ্ঘ মনোভাবাপন্ন যাঁরা আছেন, তাঁদের পরিবারের ছেলেদের অবশ্যই অগ্নিপথে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সারা দেশেই এই প্রক্রিয়া চলবে।”

Advertisement

জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপের কটাক্ষ, “সেনাকে বিজেপি সরকার দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এ বার সেনার ভিতরে গেরুয়া অনুপ্রবেশ করছে। সারা দেশ এর প্রতিবাদ করছে।” জেলা বিজেপির মুখপাত্র ধীরাজমোহন ঘোষ বলেন, “এটা সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে আরএসএসের সম্পর্ক কী?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রকল্পটি দেশের কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাতে যোগ দেওয়ার জন্য যে কেউ প্রচার করতে পারেন। যে কোনও পরিবারের তরুণই যোগ্যতা থাকলে অগ্নিপথে যোগ দিতে পারেন। বিরোধীদের তো কেউ মানা করেনি প্রকল্পের প্রচার চালাতে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement