—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূল এবং বিজেপির মোকাবিলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ছাড়া রাস্তা নেই। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েও দলের ‘অস্তিত্ব’ বাঁচাতে আসন নিয়ে স্পষ্ট রফা চাইছে বাম শরিকেরা। গত বারের বিধানসভা নির্বাচনের মতো ‘আধসিদ্ধ ব্যবস্থা’ নয়। ফরওয়ার্ড ব্লকের পরে এ বার একই অবস্থান নিল আর এক শরিক আরএসপি। সেই সঙ্গেই সীমিত সংগঠন নিয়েও জেলায় জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি বাড়াচ্ছে তারা।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর জেলা মুর্শিদাবাদ আরএসপি-র পুরনো ঘাঁটি। সেই পুরনো গড় না থাকলেও ২০১৬ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে পাকা রফা না হওয়ায় কিছু দু’পক্ষেরই প্রার্থী ছিল। আবার আলিপুরদুয়ারের মতো জেলায় আরএসপি-র প্রার্থী থাকলেও সিপিএমের সমর্থন চলে গিয়েছিল কংগ্রেসের দিকে। এ বার আরএসপি-র রাজ্য কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ বা ভুল বোঝাবুঝির জায়গা ছেড়ে আসনের পরিষ্কার ভাগাভাগির লক্ষ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চালানোর দাবি তুলবে তারা। শুধু সিপিএম নয়, কংগ্রেসের সঙ্গে বামফ্রন্টের প্রতিনিধিদলই কথা বলবে— এই মতেরও শরিক তারা। আরএসপি-র রাজ্য সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘সিপিএমের সঙ্গে আমরা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করব। তার পরে বামফ্রন্টেও আলোচনা করে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’’ এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদের উপস্থিতিতে কংগ্রেসেরও রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক রয়েছে কাল, বৃহস্পতি ও পরশু, শুক্রবার।
বিশ্বনাথবাবু জানিয়েছেন, কেন্দ্রের কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে এবং অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিলের প্রতিবাদে জেলায় জেলায় দলের নিজস্ব আন্দোলন কর্মসূচি চলবে। দলের রাজ্য নেতারাও জেলায় যাবেন। ভোটের আগে রাজ্য সরকার ‘দুয়ারে’ যাওয়ার কর্মসূচি নিলেও আবেদন করেও বহু পরিষেবা যে মানুষ পাচ্ছেন না, সেই বিষয়টিও তাঁদের আন্দোলনে থাকবে বলে বিশ্বনাথবাবুর বক্তব্য।