—ফাইল চিত্র।
একা নায়ক প্রসেনজিৎকেই ডাকা হয়নি। অর্থ লগ্নি সংস্থা রোজ ভ্যালির নয়ছয়ের মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-তে ডাক পড়েছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তেরও।
ঋতুপর্ণা এবং তাঁর সংস্থার সঙ্গে রোজ ভ্যালি এবং তার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর আর্থিক লেনদেনের হদিস পেয়েছে ইডি। তাই ১৮ জুলাই ডেকে পাঠানো হয়েছে ঋতুপর্ণাকে। আর ১৯ জুলাই ওই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সামনে হাজির হওয়ার কথা অভিনেতা-প্রযোজক প্রসেনজিতের।
ঋতুপর্ণা এখন আছেন মার্কিন মুলুকে। বুধবার ফোনে তিনি বলেন, ‘‘আমি এখনও হাতে কোনও নোটিস পাইনি। ১৬-১৭ তারিখ নাগাদ কলকাতায় ফিরব। কী চিঠি দিয়েছে দেখি। তবে ডেকে পাঠিয়ে থাকলে যাব। সহযোগিতা করব।’’ মঙ্গলবার একই সুরে সহযোগিতার কথা বলেছিলেন প্রসেনজিৎ। তিনি জানান, তাঁর সংস্থার সঙ্গে রোজ ভ্যালির লেনদেন হয়েছিল। ঋতুপর্ণাও বলেন, ‘‘আমার প্রোডাকশন হাউসের সঙ্গে কাজ করেছিল রোজ ভ্যালি। রোজ ভ্যালির প্রযোজনায় আমি ‘চাঁদের বাড়ি’ ও ‘বিয়ে নট আউট’ বলে দু’টি ছবিও করেছি। মনে হয়, এ-সব নিয়েই কথা বলতে চান অফিসারেরা।’’
ইডি সূত্রের খবর, রোজ ভ্যালি মামলায় আগামী দিনে আরও বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ডেকে পাঠানো হবে। মঙ্গলবার ডাকা হয়েছিল কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালুকে। তিনি আসেননি। আবার তাঁকে নোটিস পাঠানো হবে বলে জানায় ইডি।
নারদ স্টিং অপারেশন কাণ্ডে এ দিন পুলিশকর্তা এসএমএস মির্জাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। দ্বিতীয় পর্বে এই নিয়ে তাঁকে তিন বার প্রশ্ন করা হল বলে সিবিআই সূত্রের খবর। তদন্তকারীরা জানান, ২০১৪ সালে মির্জা বর্ধমানের পুলিশ সুপার ছিলেন। নারদ-কাণ্ডে সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল তাঁর সরকারি বাংলোতেই টাকা দিয়েছিলেন। মির্জা শাসক দলের বিভিন্ন নেতার হয়ে টাকা নিতেন। ওই পুলিশকর্তার লিখিত বয়ান নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তদন্তকারীরা।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।