বিধানসভায় প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ঘরটি পেলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বন্ধই থাকবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘর। ফাইল চিত্র
বিশেষ অধিবেশনের শুরুতেই বদলেযাচ্ছে মন্ত্রীদের ঘরের সমীকরণ। গত বছর ৪ নভেম্বর কালীপুজোর দিন প্রয়াত হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এর পরবিধানসভায় একতলার ঘর থেকে তাঁর নেমপ্লেট সরিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী। তাই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের একটি ঘরে বসার ব্যবস্থা ছিল তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী আর সুব্রতের ঘরের মধ্যে ছিল কেবল প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরটি। এ বছর ২৩ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। তাই সুব্রতের ঘরের মতো তাঁর ঘরেও নেমপ্লেট খুলে তালা ঝোলানো হয়েছে।
কিন্তু ১৪ সেপ্টেম্বর বিশেষ অধিবেশন শুরুর আগে সুব্রতের ঘরটি দেওয়া হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। আগে তাঁর ঘরটি ছিল বিধানসভার দোতলায়। ব্রাত্যের আগের ঘরটি দেওয়া হয়েছে সদ্য মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। একতলার সুব্রতের পাশের ঘরটি বরাদ্দ ছিল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের জন্য। তাঁর ঘরটি দেওয়া হয়েছে বর্তমান অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। দোতলায় তাঁর ঘরটি দেওয়া হচ্ছে বালিগঞ্জের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে। বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থের ঘরটি বন্ধই রাখা হয়েছে। রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী পার্থের ঘরটি চেয়ে আবেদন করেছিলেন বলেই বিধানসভা সূত্রে খবর। কিন্তু স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজি হননি।
দোতলায় প্রাক্তন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের ঘরটি পেয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা। যদিও, তাঁর ঘরটি দোতলাতেই ছিল। মন্ত্রী অখিল গিরি ও প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর একটি ঘরে ভাগাভাগি করে বসতেন। একক ভাবে দোতলার ওই ঘরটি পেয়েছেন নতুন পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। দোতলাতেই সদ্য মন্ত্রিত্ব খোয়ানো রত্না দে নাগের ঘরটি পেয়েছেন মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী।
তৃণমূল পরিষদীয় দলের সচিব হিসেবে দোতালার যে ঘরটিতে এতদিন সেচমন্ত্রী পার্থ বসতেন, সেটি পেয়েছেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। মন্ত্রিত্ব হারানো মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারীর দোতলার ঘরটি পেয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন। একতলার একটি ফাঁকা ঘর দেওয়া হয়েছে কারামন্ত্রী অখিলকে। দোতলার একটি খালি ঘরে বসার বন্দোবস্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের।