Crackers

রাজ্যে বাজি আটকাতে প্রশাসনের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন

তবে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেবে তা নিয়েও সন্দিহান পরিবেশকর্মীরা। কারণ, খাস কলকাতা পুলিশের নাকের ডগায় বাজি বিক্রির কথা সামনে এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৪১
Share:

প্রতীকী চিত্র।

বাজি নিয়ে রাজ্যে বহাল থাকছে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই। সোমবার জাতীয় পরিবেশ আদালত বায়ু পরিচ্ছন্নতার নিরিখে কিছু এলাকায় বাজি বিক্রির ছাড়পত্র এবং পোড়ানোর জন্য দু’ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করলেও তা এ রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। রাজ্য পরিবেশ দফতরের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “জাতীয় পরিবেশ আদালত হাইকোর্টের রায়কে সংশোধন করতে পারে না। তা ছাড়া, পরিবেশ আদালতের রায়ের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায়কে দৃষ্টান্ত বলা হয়েছে। পরিবেশ আদালত এ-ও বলেছে, তাদের রায়ের পরে কোনও রাজ্য ইচ্ছে করলে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। তাই এ রাজ্যে হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকছে।”

Advertisement

এ কথা বললেও বাজি দমনে প্রশাসন কতটা সক্রিয় সেই প্রশ্ন বারবার উঠেছে। পরিবেশকর্মীদের যৌথ সংগঠন সবুজ মঞ্চের সম্পাদক নব দত্ত বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশের পরে এখনও পরিবেশ দফতর কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি। এটা খুবই নিন্দনীয়। পুলিশ-প্রশাসনও গা-ছাড়া মনোভাব নিয়ে চলছে। তাই বাজারে বাজি বিক্রি হয়েই চলেছে। বাজি কারখানাগুলির উপরেও কোনও ব্যবস্থা নেই।” তিনি জানান, ইতিমধ্যে বাজির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে চিঠিও দিয়েছে সবুজ মঞ্চ। পরিবেশকর্মীদের দাবি, বাজি ব্যবসায়ীদের পিছনে রাজনৈতিক জগতের একাংশের ইন্ধন রয়েছে।

পরিবেশ দফতর সূত্রের দাবি, হাইকোর্ট পুলিশ-প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে। তাই আলাদা নির্দেশিকা নিষ্প্রয়োজন। কিন্তু পুলিশ কত সক্রিয়, সেই প্রশ্ন রয়েছে। কলকাতার একাধিক এলাকায় বাজি বিক্রি হচ্ছে। সে ভাবে ধরপাকড়ের খবরও মিলছে না। তবে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেবে তা নিয়েও সন্দিহান পরিবেশকর্মীরা। কারণ, খাস কলকাতা পুলিশের নাকের ডগায় বাজি বিক্রির কথা সামনে এসেছে।

Advertisement

আরও পডুন: ছেলে মারা গিয়েছে বুঝতে পেরেও আব্দুল রা কাড়েননি, পাছে বাস থেকে নামিয়ে দেয়​

দুই ২৪ পরগনার চম্পাহাটি, ক্যানিং, হাসনাবাদ-সহ কিছু জায়গায় বাজি বিক্রির খবর মিলেছে। তবে প্রশাসনের খবর, আলাদা করে নির্দেশিকা জারি না-করলেও তারা আদালতের নির্দেশ মেনে চলছে। কলকাতা পুলিশ তল্লাশির পাশাপাশি সচেতনতা প্রচার করছে। নদিয়া জেলা পুলিশ বিভিন্ন থানার ওসি-আইসিদের অফিশিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নির্দেশ দিয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে তল্লাশি-অভিযান চলছে, বাজি প্রস্তুতকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। বীরভূমে যে-যে থানা এলাকায় বাজি তৈরির কারখানা রয়েছে, তাদের সতর্ক করা হয়েছে।

উত্তরবঙ্গের বেশির ভাগ জায়গায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাজি বিক্রি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন বাজি বন্ধের লিখিত নির্দেশিকা দিয়েছে। মুর্শিদাবাদ, হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমানে পুলিশি অভিযান চলছে। সোমবার হুগলির খানাকুল থেকে প্রায় ৩৬ কিলোগ্রাম বাজি উদ্ধার হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement