রোদ্দূর রায়।
রোদ্দূর রায়ের আয়ের উৎস খুঁজতে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য খতিয়ে দেখবে পুলিশ। রোদ্দূরের যে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তা গত কয়েকদিনের তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। এ বার সেই সব অ্যাকাউন্টে কবে কী কী আর্থিক লেনদেন হয়েছে তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। যদিও রোদ্দূরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যে কেন নজর রাখা হচ্ছে, তদন্তকারীরা তা স্পষ্ট করেননি। তবে তদন্তের এই প্রক্রিয়ায় যে তিনি খুশি নন তা মঙ্গলবার কোর্ট রুম থেকে বেরিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন রোদ্দূর। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি ‘আর্টিস্ট’, এরা কেউ ‘আর্ট’ বুঝতে পারেছে না।’’
রোদ্দূর তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বরাবর নানা ধরনের সমালোচনামূলক ভিডিয়োই আপলোড করেছেন। তা তাঁর অনুগামীরা পছন্দও করেছেন। সেই সমস্ত ভিডিয়োকেই সম্ভবত তাঁর ‘আর্ট’ এবং নিজেকে ‘আর্টিস্ট’ বলে বর্ণনা করেছেন রোদ্দূর।
রোদ্দূরের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার যে মামলাটির শুনানি ছিল সেটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর আক্রমণ করে তৈরি করা একটি ভিডিয়ো অর্থাৎ রোদ্দুরের কথা মতো তাঁর ‘শিল্প’ নিয়েই। সেই মামলায় মঙ্গলবার রোদ্দূরকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। এর পাশাপাশি অন্য আর একটি মামলাতেও রোদ্দূরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনাচক্রে সেই মামলাটিও ছিল রোদ্দূরের কয়েকটি ভিডিয়ো নিয়েই। দু’বছর আগে বটতলা থানায় ইউটিউবার রোদ্দূরের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল অভিযোগ। তাতে বলা হয়েছিল, রোদ্দূর ভারতীয় সেনাবাহিনী, জাতীয় পতাকা, দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবমাননা করেছেন। তাঁদের নিয়ে কুমন্তব্য করেছেন, অশালীন অঙ্গভঙ্গিও করেছেন।
রোদ্দূরের দাবি তাঁকে ভুল বোঝা হচ্ছে। যেমন ভুল বোঝা হয়েছে প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী কেকে-কে নিয়ে তৈরি তাঁর ভিডিয়োটিকে। যেখানে গায়ক রূপঙ্কর বাগচির সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা, তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে কুরুচিকর আক্রমণ করেছিলেন রোদ্দূর।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।