‘রক-ও-লজি’
বাংলা রক মিউজিককে ঘিরে ১৬ ডিসেম্বর চন্দননগরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক অন্য ধরনের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ‘রক-ও-লজি’। রকপ্রেমীদের উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা, হেডব্যাং - সব মিলিয়ে বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল অনুষ্ঠান। উৎসবের মরসুমে মেজাজ বেঁধে দিয়েছিল অন্য তারে।
এ দিন একই মঞ্চে রক সঙ্গীতের আবহে মেতেছিল দেশের অন্যতম সেরা চারটি বাংলা ব্যান্ড — ‘ব্লাড’, ‘শিলাজিৎ’, ‘ফসিলস্’ এবং ‘দ্য মিসিং লিঙ্ক’। ‘রক-ও-লজি’র মঞ্চে এ দিন ব্যান্ডগুলি প্রায় ঝড় তুলে দিয়েছিল বললেই চলে।
‘ফসিলস্’-কে নিয়ে রকপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা বরাবরই তুঙ্গে থাকে। এ বারেও তার অন্যথা হয়নি। ‘রক-ও-লজি’র মঞ্চে রূপম ইসলাম ও তার ব্যান্ড ‘ফসিলস্’-এর উপস্থিতিতে সঙ্গীতপ্রেমীদের উত্তেজনার পারদ উঠেছিল চরমে।
রূপমের কণ্ঠে ‘শোনো তুমি কি আমার হবে’ এবং ‘বিষাক্ত মানুষ’-এর মতো গানগুলি অতীতের মতোই সে দিনও উদ্দীপনা তৈরি করেছিল শ্রোতা মহলে।
‘ফসিলস্’ ছাড়াও রক সঙ্গীতে বরাবরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শিলাজিৎ। তাঁর গানেও সে দিন মেতে উঠতে দেরি করেননি শ্রোতারা। শিলাজিৎ তাঁর কিছু বিখ্যাত গানে যথারীতি মন কেড়েছিলেন সঙ্গীতপ্রেমীদের। তাঁর গাওয়া গানের মধ্যে ছিল ‘আমার আর রাখাল সাজা হল না’, ‘বুকে আমার বারুদের বাসা সজনী’ ইত্যাদি। এ ছাড়াও শিলাজিতের অনুষ্ঠানের বিশেষত্ব হল গানের মধ্যে তাঁর সুরেলা সিটি। এ বারেও সেই জাদুতে মুগ্ধ অনুরাগীরা।
অনুষ্ঠানের বিরতির সময়ে কথায়, হাসিতে দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছিলেন আরজে ও অভিনেতা সায়ন ঘোষ। ‘জয় রক’ উচ্চারণের মধ্যে উত্তেজনার পারদ লাগাতার জাগিয়ে রেখেছিলেন তিনিও।
শিলাজিৎ ও ‘ফসিলস্’ ছাড়াও ‘দ্য মিসিং লিঙ্ক’ ও ‘ব্লাড’ নামে আরও দু'টি নতুন বাংলা ব্যান্ড এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাদের গানও শ্রোতা মহলে ভালই সাড়া জাগিয়েছিল। উঠতি ব্যান্ড হলেও সেই গান এক অন্য মাত্রায় এনার্জি এনে দেয় শ্রোতাদের মধ্যে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী ইক্ষিতা মুখোপাধ্যায়। তিনিও শ্রোতাদের অনুরোধে বেশ কিছু সঙ্গীত পরিবেশনা করেন।
সব মিলিয়ে ‘রক-ও-লজি’ অনুষ্ঠান ছিল জমজমাট। প্রত্যেক সঙ্গীতশিল্পীই তাঁদের কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন শ্রোতাদের। উৎসবের মেজাজে, আকাশ ছোঁয়া উত্তেজনায় এ ভাবেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক রকিং শো ‘রক ও লজি’। ইভেন্টের আয়োজক ছিল অ্যাডিকশন ইভেন্ট।
অনুষ্ঠানের ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার আনন্দবাজার অনলাইন।