এর কিছু পরেই বিধানসভায় নিজের প্রয়াত সতীর্থকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তার কিছু পরে নিজের ঘরে ফিরে মুখ্যমন্ত্রী ডেকে পাঠান ঋতুপর্ণাকে। মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পেয়ে তাঁর ঘরে যান জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। মিনিট দশেক একান্তে কথা হয় দু’জনের।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। নিজস্ব চিত্র
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মরদেহ সোমবার দুপুরেনিয়ে আসা হয় বিধানসভায়। সেখানেই সাধন-কন্যা শ্রেয়ার সঙ্গেই আসেন পাণ্ডে পরিবারের বন্ধু ঋতুপর্ণা। সাদা সালোয়ার ও গায়ে গাঢ় নীল চাদর এবং মুখে মাস্ক পরে বিধানসভায় আসেন তিনি। আগাগোড়াই সাধন-কন্যার সঙ্গে ছিলেন ঋতুপর্ণা। একে একে যখন মন্ত্রী সাংসদ বিধায়করা সাধনকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছিলেন, সেই সময়েও শ্রেয়ার পাশে ছিলেন তিনি। এর কিছু পরেই বিধানসভায় নিজের প্রয়াত সতীর্থকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তার কিছু পরে নিজের ঘরে ফিরে মুখ্যমন্ত্রী ডেকে পাঠান ঋতুপর্ণাকে। মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পেয়ে তাঁর ঘরে যান জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। মিনিট দশেক একান্তে কথা হয় দু’জনের।
পরে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা ছেড়ে নবান্নের উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। ঋতুপর্ণা ছিলেন শ্রেয়ার সঙ্গেই। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর একান্তে বৈঠক প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে নায়িকা বলেন, ‘‘আমি এই প্রথমবার বিধানসভায় এলাম। দিদি বললেন, ভেতরে এসে একটু দেখে যেতে। ওঁর আজ খুব মন খারাপ। অনেকদিন পর দিদির সঙ্গে দেখা হল, তাই বসে একটু কথা হল। আমাকে উনি খুব স্নেহ করেন। বললেন, ‘তুমি এসেছ, ভালো করেছো’।’’
আগামী দিনে কি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করবেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘‘না, এরকম কোনও কথা হয়নি।’’ পরে উত্তর কলকাতার সাংসদ তথা তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে সাধন-কন্যা শ্রেয়াকে নিয়ে নিমতলা শ্মশানের উদ্দেশে রওনা দেন অভিনেত্রী।