প্রতীকী ছবি।
বর্ধিত হারে পেনশন হচ্ছে না অবসর নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকের! অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অনেকেরই দাবি, বর্ধিত হারে পেনশন পাওয়া যাবে কি না, সেই খোঁজ নিতে গেলে ট্রেজারির অফিসাররা তাঁদের জানাচ্ছেন, শিক্ষা দফতর থেকে নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত বর্ধিত হারে পেনশন মিলবে না। কিন্তু কবে নির্দেশিকা প্রকাশিত হবে, সে ব্যাপারে ট্রেজারি তাঁদের কিছু জানাতে পারেনি।
ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর করতে ২০১৯ সালে রোপা প্রকাশিত হওয়ার পরে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বর্ধিত হারে বেতন পেতে শুরু করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীরাও তা পেতে শুরু করেছেন। কিন্তু অবসরপ্রাপ্তদের অনেকেই এখনও বর্ধিত হারে পেনশন হাতে পাচ্ছেন না। বেতন কমিশন কার্যকর হওয়া ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ‘নোশনাল’ হিসেবে ধরা হচ্ছে। ফলে ২০১৬ সালের পরে যাঁরা অবসর নিয়েছেন, সেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হচ্ছে। বাকিদের তা করতে হচ্ছে না।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের বর্ধিত পেনশন না হওয়া নিয়ে সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, গত ২১ জানুয়ারি অর্থ দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পেনশন কর্তৃপক্ষ পেনশনভোগীদের পেনশনের সংশোধিত বয়ান রাজ্যের অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের (এজি) কাছে পাঠাবে। এজি-এর ছাড়পত্রের ভিত্তিতে পেনশন-প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তার পরেই অবসরপ্রাপ্তরা পাবেন নতুন হারে পেনশন। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ২০১৬-র ৩১ জানুয়ারি থেকে ২০১৯-র ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁরা অবসর নিয়েছেন, তাঁদের জন্য এই নিয়ম। তবে শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি, ২০১৬-র আগে যাঁরা অবসর নিয়েছেন, তাঁদের ফর্ম পূরণ করতে হবে না। স্বাভাবিক হারেই বর্ধিত বেতন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। এর পরেও শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকার জন্য বিষয়টি কেন ঝুলে থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: তফসিলি–প্রকল্পের পিছনে ‘ভোট’ দেখছেন অনেকেই
পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির রাজ্য সম্পাদক শ্রীদামচন্দ্র জানা বলেন, ‘‘কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতন পেয়েছেন নতুন বেতনক্রমে। অথচ অবসর প্রাপ্তশিক্ষক শিক্ষকাদের এ পর্যন্ত বর্ধিত পেনশনের জন্য সরকারি নির্দেশনামাও প্রকাশিত হল না। ফলে অবসরপ্রাপ্তদের উদ্বেগ বাড়ছে।’’ পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার বলেন, ‘‘ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই যেন বর্ধিত হারে পেনশন শিক্ষকরা পান সেজন্য সরকারকে দ্রুত আদেশনামা বের করার আবেদন জানাচ্ছি।’’