আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী ও তাঁদের পরিবারবর্গের মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে পথে নামলেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীরা। রবিবার হাওড়ার শিবপুরের কাজিপাড়া থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত একটি মৌনী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এই মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও। মিছিলে আরজি করের ঘটনার বিচারের দাবির পাশাপাশি, প্রতিবাদের মিথ্যা মামলায় না জড়ানোর দাবিও তোলা হয়েছে। পুলিশি ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তনের দাবিও তোলা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীদের তরফ থেকে।
বৃহস্পতিবার এই মিছিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন উদ্যোক্তরা। হাওড়া (শহর)-র পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠীকে ইমেল করে রবিবারের কর্মসূচির কথা জানিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। মৌনী মিছিলে আইনজীবী, চিকিৎসক, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে আহ্বান জানানো হয়েছিল। শুক্রবারের মিছিল শুরু হওয়ার আগে একটি সভা হয়। সেখানে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীদের পক্ষে বক্তৃতা করেন গৌতম সরকার, সমীর গঙ্গোপাধ্যায়, আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী, অভিনেতা দেবদূত ঘোষ প্রমুখরা।
গৌতম সরকার বলেন, “আমরা যেমন নির্যাতিতার বিচারের দাবি জানিয়েছি, তেমনই আমাদের পুলিশি ব্যবস্থা নিয়েও মতামত জানিয়েছি। কারণ এটা সামগ্রিকতার বিষয়।”
আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ চলছে। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদের আঁচ। আরজি করের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টে পুলিশকে ‘কাঠগড়ায়’ তুলেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। কলকাতা কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে পথে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। চলে টানা কর্মবিরতি। বেশ কয়েক দিন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্না-অবস্থান করেন তাঁরা। লাগাতার আন্দোলনের জেরে এক প্রকার বাধ্য হয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে বিনীতকে পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনরত ডাক্তারদের দাবি মেনে নেওয়ার পর কাজে ফেরেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সোমবার ফের দেশের শীর্ষ আদালতে শুনানি রয়েছে আরজি কর মামলার।