পাহাড়ে খাতা খুলল তৃণমূল। নিজস্ব চিত্র।
জিটিএ নির্বাচনে অনিত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (বিজিপিএম) ২৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতায় বোর্ড গঠন করল অনিত থাপা। ৫টি আসনে জিতে জিটিএ নির্বাচনে প্রথম বারের জন্য খাতা খুলল তৃণমূল। হামরো পার্টি জিতেছে ৮টি আসনে। ৫টি আসনে জিতেছেন নির্দল প্রার্থীরা।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৪৬২ টি আসনে লড়াই চলছে। এর মধ্যে তৃণমূল ৩১১টিতে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি পেয়েছে ৭৪টি। এর পরই রয়েছে কংগ্রেস । কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ১৬টি আসন। বামফ্রন্ট এবং নির্দল প্রার্থীরা যথাক্রমে ১২টি এবং ১১টি আসনে জিতেছেন।
ব্যারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে পানিহাটি, ভাটপাড়া, দক্ষিণ দমদম এবং দমদম পুরসভায় ৪টি ওয়ার্ডের ভোট গণনা। সেই মতো সকাল থেকেই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। প্রশাসনিক ভবনের গেটের বাইরে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা। ভাটপাড়া পৌরসভার তৃণমূল প্রার্থী কনকলতা দাস জিতেছেন ৯৫৫ ভোটে। দমদমের তৃণমূল প্রার্থী তাপস রায় জিতেছেন ২,৭৪৭ ভোটে।
কালিম্পং ৩৫ নম্বর সমষ্টি তৃণমূলের দখলে। সেখানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুমন গুরুং। বিনয় তামাং জিতেছেন ডালি ব্লুমফিল্ড সমষ্টি থেকে। প্রবল বৃষ্টির কারণে দেরিতে শুরু হয় শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোট গণনা। মহকুমা পরিষদে মাটিগাড়া ব্লকেও এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এই নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে।
পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ২২৭৪ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মীনাক্ষী দত্ত। নিহত কাউন্সিলর অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী তাঁর এই জয় উৎসর্গ করলেন স্বামীর প্রতি। জয়ের পর এলাকায় কোনও বিজয়-উল্লাস হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ দমদমের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী বনশ্রী চট্টোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন। বনশ্রী জিতেছেন ৯২৭৭ ভোটে।
চন্দননগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩০ ভোটে জয়ী হলেন সিপিএম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়।
দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে ৭৫ ভোটে এগিয়ে সিপিএম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। চন্দননগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী গোকুলচন্দ্র পালের মৃত্যুর কারণে এই ওয়ার্ডে ভোট স্থগিত ছিল। মোট চার জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হতে চলেছে। ভাগ্য নির্ধারণ করবেন মোট ২৭৫৯ ভোটার। চন্দননগর মহকুমা শাসক দফতরে ভোট গণনা চলছে। গত নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল।
ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচন জয়ী হলেন খুন হওয়া কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু। ৭৭৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জগন্নাথ রজককে হারিয়ে মিঠুন জিতেছেন। জয়ের পর মিঠুন বলেন, ‘‘এই জয় ওয়ার্ডের মানুষের জয়। এই জয় তার কাকুর জয়।’’ জয়ের পরই ওই ওয়ার্ডে তপনের ছবি-সহ স্লোগান দিয়ে মিঠুনের নেতৃত্বে কংগ্রেসের মিছিল শুরু হয়।
মিঠুন কান্দু-তপন কান্দু।
৬ জুন তিন জেলার ছ’টি পুরসভায় ভোটগ্রহণ হয়। ভোট হওয়া ছ’টি ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড এবং উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুরসভায় ৮ নম্বর ওয়ার্ড। দুই ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর, কংগ্রেসের তপন কান্দু এবং তৃণমূলের অনুপম দত্ত খুন হওয়ার কারণেই উপনির্বাচন হয় সেখানে। তারই ফলাফল ঘোষণা হচ্ছে বুধবার।