ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী নির্ঘণ্ট এখনও অনেকটা দূরে। তবে শাসক ও বিরোধী শিবিরের চাপান-উতোরে বঙ্গে ভোট-রাজনীতির পারদ চড়ছে। কালক্ষেপ না-করে প্রস্তুতিতে গতি বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশনও। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ শুরু করছে তারা। ৬ জানুয়ারি রিটার্নিং অফিসারদের চার দিনের আবাসিক প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হওয়ার কথা। কমিশনের নির্ধারিত দলের সদস্যেরাই প্রশিক্ষক। বিধাননগর, কল্যাণী ও শালবনিতে রাজ্য সরকারি অফিসারদের জন্য নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভোট আয়োজনের খুঁটিনাটি বুঝে নেবেন রিটার্নিং অফিসারেরা।
বিধানসভা নির্বাচনে মহকুমাশাসক ও ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটরা রিটার্নিং অফিসার হন। জেলার ভিত্তিতে ভাগ করে তিনটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রথম দফায় ৬ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ পর্ব চলার কথা। দ্বিতীয় দফায় ১৬ থেকে ১৯ জানুয়ারি প্রশিক্ষণ হবে বলে এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে।
কী হবে সেখানে? বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র, ভোটার তালিকা, অভিযোগ গ্রহণ, নির্বাচনী বিধি রূপায়ণ, ভোট নিরাপত্তা-সহ নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে সেখানে প্রশিক্ষণ নেবেন রিটার্নিং অফিসারেরা। তার আগে, আগামী শনি, সোম ও মঙ্গলবার ভাষা ভবনে মাস্টার ট্রেনারদের প্রশিক্ষণ রয়েছে। মাস্টার ট্রেনার হিসেবে থাকবেন অনেক অতিরিক্ত জেলাশাসক ও মহকুমাশাসক। তাঁরাই পরে জেলা স্তরে ভোট আয়োজন সংক্রান্ত নানা ক্ষেত্রে প্রশিক্ষক হবেন।
করোনা আবহে ভোট আয়োজনের ক্ষেত্রে নতুন কিছু নিয়মকানুন সংযোজিত হয়েছে। প্রশিক্ষণ শিবিরে সেই সব বিষয়ে বাড়তি সময় ব্যয় করতে হবে বলে জানান কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। তাঁরা জানান, করোনা থাকবে ধরে নিয়েই ভোট প্রস্তুতির কাজ চলছে। ফলে প্রশিক্ষণে সেই প্রসঙ্গ আসবে। এ রাজ্যের নির্বাচনে সেটা এই প্রথম আসছে। ফলে তাতে সময় বেশি লাগবে। একই সঙ্গে ভোট আয়োজনে পুলিশের প্রশিক্ষণও খুব তাড়াতাড়ি শুরু করতে চায় কমিশন। ইতিমধ্যে সেই বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এখনও তার দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়নি।