Police Reshuffle

রাজ্য পুলিশে রদবদল, বাড়তি দায়িত্বে জাভেদ, রাজভবনে মহিলা মুখ, বিধাননগরেও বদল এল

রাজ্য পুলিশে রদবদল। অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন জাভেদ শামিম। গোয়েন্দা বিভাগ এবং এডিজি (নিরাপত্তা) পদের দায়িত্বের পাশাপাশি তাঁকে দুর্নীতিদমন শাখার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৪ ১৯:৪০
Share:

(বাঁ দিক থেকে) জাভেদ শামিম, শান্তি দাস এবং মণীশ জোশী। —ফাইল চিত্র।

রাজ্য পুলিশে রদবদল। অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন জাভেদ শামিম। গোয়েন্দা বিভাগ এবং এডিজি (নিরাপত্তা) পদের দায়িত্বের পাশাপাশি তাঁকে দুর্নীতিদমন শাখার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হল। এত দিন এই পদের দায়িত্বে ছিলেন আইপিএস আর রাজাশেখরন। রাজ্যপালের এডিসি পদেও বদল করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে, এ বার এই পদের দায়িত্ব সামলাবেন এক মহিলা অফিসার।

Advertisement

এত দিন রাজ্যপালের এডিসি পদের দায়িত্ব সামলাতেন আইপিএস মণীশ জোশী। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেলেন শান্তি দাস। তিনি ডব্লুবিপিএস অফিসার। শান্তি এত দিন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের অতিরিক্ত সুপার ছিলেন। এই প্রথম আইপিএস অফিসারের পরিবর্তে কোনও ডব্লুবিপিএস অফিসার রাজ্যপালের এডিসি পদের দায়িত্ব পেলেন। মণীশকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের বিধাননগর জ়োনের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার করা হল।

আরজি কর-কাণ্ডের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানাবিধ প্রশ্ন উঠেছে। কলকাতা হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার মুখেও পড়েছে পুলিশ-প্রশাসন। সেই আবহেই এই রদবদল। যদিও এর সঙ্গে আরজি কর-কাণ্ডের কোনও যোগ নেই বলেই মনে করছে পুলিশ মহলের একাংশ। তাদের বক্তব্য, এটা নিছকই রুটিন বদলি। তা ছাড়া আরজি করের ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কলকাতা পুলিশকে। আর এই রদবদল হয়েছে রাজ্য পুলিশে। অতএব এই রদবদলের সঙ্গে ওই ঘটনার সম্পর্ক খোঁজার কোনও অর্থ হয় না।

Advertisement

যদিও পুলিশের অন্য একটি অংশের বক্তব্য, আরজি কর-কাণ্ডে শুধু কলকাতা পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েনি। গোটা পুলিশ-প্রশাসনের প্রতি আস্থায় খানিক ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ফলে একেবারেই যে সম্পর্ক নেই, সে কথাও বলা যাবে না। বরং একে প্রশাসনিক মহলের একাংশ গোটা পুলিশি ব্যবস্থায় (আলোচনায় মূলত কলকাতা পুলিশ) রদবদলের প্রাথমিক ধাপ হিসাবে অনুমান করতে চাইছেন। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে সে অনুমানের সত্যতা মেলেনি।

চলতি বছরের শুরুতেই জাভেদকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদ থেকে সরানো হয়েছিল। ওই পদে আনা হয়েছিল মনোজ বর্মাকে। জাভেদকে পাঠানো হয় গোয়েন্দা বিভাগ এবং এডিজি (নিরাপত্তা) পদে। এ বার দুর্নীতিদমন শাখা থেকে রাজাশেখরনকে সরিয়ে সেই দায়িত্বও জাভেদকে দেওয়া হল। কিন্তু রাজাশেখরনকে আপাতত অন্য কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement