ধর্মঘেটের দিন গাড়ি ভাঙচুর।
বন্ধের দিন মালদহের সুজাপুরে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে পুলিশ, র্যাফ ও সিভিককর্মীকে চিহ্নিত করেছে সিআইডি। মঙ্গলবার সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করলেন তদন্তকারী সিআইডি আধিকারিকেরা। তবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে নারাজ সিআইডি এবং পুলিশ কর্তারা।
এ দিকে, সুজাপুরে জনজীবন স্বাভাবিক করতে শাসক থেকে বিরোধী সকলেই সর্বদলীয় শান্তি বৈঠকের দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, শান্তি বৈঠক ডাকতে চলেছে জেলা প্রশাসনও। মালদহের জেলাশাসক রাজর্শ্রী মিত্র বলেন, ‘‘সুজাপুরে খুব তাড়াতাড়ি শান্তি বৈঠক করা হবে।’’
নাগরিকত্ব আইন-সহ কেন্দ্রীয় কয়েকটি নীতির বিরুদ্ধে ডাকা বন্ধ ঘিরে গত বুধবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল সুজাপুর। অভিযোগ, পাঁচ ঘন্টা ধরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বলে নালিশ বিরোধীদের। এর পরেই পুলিশের একাধিক গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, একাধিক পুলিশকর্মীও আহত হন। পুলিশের বিরুদ্ধেও সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ভিডিয়ো ‘ভাইরাল’ হয়। ওই ঘটনার তদন্তের ভার সিআইডি-র হাতে তুলে দেয় রাজ্য সরকার।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মালদহের সিআইডি আধিকারিক ডেভিড ইভান লেপচার নেতৃত্বে শুরু হয় তদন্ত। ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করে সিআইডি। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তা দেখে দু’জন সিভিককর্মী, সশস্ত্র বাহিনীর দু’জন পুলিশ এবং এক র্যাফ জওয়ানকে শণাক্ত করা হয়।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ‘‘পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ইতিমধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাঙচুরে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হল না।’’ একই দাবি করেছেন সুজাপুরের বিধায়ক কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরীও।
যদিও তদন্ত সঠিক ভাবেই চলছে বলে দাবি জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মৌসম নূর। তিনি বলেন, ‘‘অহেতুক প্রশ্ন তুলে রাজনীতি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’