বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি-র মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা। ফাইল চিত্র
নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার পরেই একে একে ন’জন বিধায়ক বিদ্রোহী হয়ে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তারপরেই বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকেও যোগাযোগ শুরু করে তাঁদের গ্রুপ ত্যাগের কারণ জানতে চাওয়া হয়। এই দায়িত্ব দেওয়া হয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গাকে। তিনিই উদ্যোগী হয়ে কথা বলেন গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া বিধায়কদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনার পর বিষয়টি তিনি বিস্তারিত ভাবে জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া বিধায়করা আবারও গ্রুপে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন বলেই খবর।
বিধানসভায় বিজেপি-র মুখ্যসচেতক মনোজ বলেন, ‘‘আমি বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা সবাই দলে থাকবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। তাঁদের শীঘ্রই আবারও দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলিতে ফেরানো হবে।’’ কেন বিধায়করা এমন বিদ্রোহ করেছিলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘সেটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিধায়কদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে তা প্রকাশ্যে বলা যাবে না।’’ প্রসঙ্গত, শনিবার বিজেপি-র নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হলে তা নিয়ে বিভিন্ন জেলায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ লক্ষ করা যায়। নতুন কমিটিতে ঠাঁই হয়নি কোনও মতুয়া প্রতিনিধির। এই অভিযোগে বিজেপি বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে সম্প্রতি বেরিয়ে যান মতুয়া সম্প্রদায়ের পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপি-র গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান গাইঘাটায় বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় এবং রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। সাংগঠনের রদবদলে ক্ষুব্ধ বাঁকুড়া জেলা থেকে নির্বাচিত বিধায়করাও একই পথ অবলম্বন করেন। দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা, সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি এবং ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল ধাড়া।
তবে কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নেন। তারপরেই বাকি বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে পদ্ম শিবির। আপাতত বিধায়করা কেউ দল ছাড়বেন না আশ্বাস দেওয়া স্বস্তিতে গেরুয়া শিবিরের রাজ্য নেতারা।