বৃষ্টিভেজা অষ্টমী। সোমবার দুপুরে বিডন স্ট্রিটে। ছবি: সুমন বল্লভ
মেঘ আছে কমবেশি। থাকবেও। তবে বড় দুর্যোগের আশঙ্কা অনেকটাই কেটে গিয়েছে বলে হাওয়া দফতরের আশ্বাস। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জন্ম হয়েছে ঠিকই। তবে সোমবার, উৎসবের তুঙ্গ মুহূর্তে কিছুটা স্বস্তির বার্তা দিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে যাবে। তাই সরাসরি শারদোৎসবে তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই।
একই সঙ্গে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে একটি অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। তার জেরে বঙ্গে বৃষ্টির আশঙ্কা নিশ্চিহ্ন হয়নি। দশমী পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি চলবে। আজ, মহানবমীতে উত্তরবঙ্গের একাংশে, দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, বীরভূমে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। কলকাতায় মেঘ থাকবে, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বিজয়া দশমীর পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনা।
মহাষ্টমীতে কলকাতা এবং রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তে কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। তবে মহানগরে আনন্দ পণ্ড হয়নি। শিলিগুড়িতে সকালে বৃষ্টি শুরু হয়। বেলার দিকে বয় ঝোড়ো হাওয়া। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের ঘনিষ্ঠ এক আয়োজকের মণ্ডপ ঝড়ে ভেঙে পড়ে। কেউ হতাহত হননি। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদহে কখনও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, কখনও ঝোড়ো হাওয়া। বিকেলেও বৃষ্টি নামায় মণ্ডপ-চত্বরে জল জমে যায়। মুর্শিদাবাদে বেলা গড়াতেই নামে বৃষ্টি। জোরালো বৃষ্টি হয় বীরভূমে। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে সন্ধ্যায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হয় নদিয়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও। মেঘলা আকাশ। দু’-এক পশলা বৃষ্টি। ভ্যাপসা গরমের দাপট তবু খুব একটা কমেনি।
পুজোর শুরুতে ঘূর্ণাবর্ত-নিম্নচাপের ভ্রুকুটিতে বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন অনেকেই। অতিমারি পর্ব কাটিয়ে ছন্দে ফেরার পুজো কি বৃষ্টিতে ভেসে যাবে, উঠছিল প্রশ্নও। তবে শেষ পর্যন্ত দুর্যোগ সইতে হয়নি। অনেকে বলছেন, উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে বর্ষা। উত্তর, মধ্য ভারতের একাংশেও ছুটি হয়ে গিয়েছে বর্ষার। এই পরিস্থিতিই কি নিম্নচাপকে বেকায়দায় ফেলে দক্ষিণ ভারতে পাঠাল— অব্যাহত জল্পনা।