—প্রতীকী ছবি।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন আলিপুরের সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ও শান্তিপ্রসাদ সিংহ-সহ আট অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত ও সিবিআইয়ের আইনজীবী বিচারকের সামনেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন।
সঞ্জয়ের বক্তব্য, রাজ্য জুড়েই নিয়োগ দুর্নীতির চলেছে বলে সিবিআইয়ের দাবি। অথচ ৪৫৪ দিন পেরিয়ে গেলেও রাজ্যের ২০টি জেলার মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র চারটি জেলায় তদন্ত করছে সিবিআই। তাঁর বক্রোক্তি, “বাকি জেলায় তদন্ত শেষ করতে তো আট-দশ বছর লেগে যাবে। শান্তিপ্রসাদের বয়স প্রায় সত্তর। তিনি অসুস্থ। বিচার প্রক্রিয়া দেখতে পাবেন কিনা সন্দেহ।”
সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুযায়ী তদন্ত হচ্ছে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। জটিল পরিস্থিতি। তাই দ্রুততার সঙ্গে এগোন যাচ্ছে না।” সঞ্জয়ের অভিযোগ, “চার্জশিটে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চারজনকে গ্রেফতার করছেন। হয়ত কাউকে আড়াল করতেই এমন কিছু করা হয়ে থাকতে পারে।” এরপরেই সঞ্জয় এবং সিবিআইয়ের আইনজীবী উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন।
বিচারক সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, “দ্রুত তদন্ত করুন। বিচারপ্রক্রিয়া যাতে তাড়াতাড়ি শুরু করা যায়, সেদিকে নজর রাখুন।” অসুস্থতার কারণে গত কয়েক বার ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশগ্রহণ করলেও এ দিন আদালতে সশরীরে হাজির ছিলেন শান্তিপ্রসাদ। বিচারক শরীরের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “একদম ভাল নেই।” শান্তিপ্রসাদ ও জীবনকৃষ্ণ-সহ আট জন অভিযুক্তকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখা।
আদালত সূত্রের খবর, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় দুই এজেন্ট আশিষ ঠাকুর ও শরিফুল শেখকে জেলে গিয়ে সিবিআইয়ের জেরার আবেদন এ দিন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। আশিষ বিহারের বাসিন্দা। বর্তমানে টিটাগর ও ব্যারাকপুর থানার মামলায় জেলে রয়েছেন। শরিফুলের বাড়ি মালদহে। রাজ্য পুলিশের এসটিএফের মামলায় তিনি জেলে রয়েছেন।