কড়া আইন মেনে হবে এসএসসি নিয়োগ।
শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের সহানুভূতি থাকবে বলে জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তবে সেই সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে রাজ্যে কোনও রকম ভাবেই আইনের বাইরে গিয়ে কাজ করবে না। আপার প্রাইমারি এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে স্কুলশিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এমনটাই স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, ব্রাত্য সোমবার রাজ্যে নতুন ২১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথাও ঘোষণা করেছেন।
স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ৫০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। গত সপ্তাহের শনিবার ওই আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের নিজের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে ডেকে নিয়ে কথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তাঁদের আশ্বাস দেন, ২০১৬ সালের এসএসসির মেধাতালিকায় নাম থাকা সকলের চাকরির ব্যাপারে ১০০ শতাংশ চেষ্টা করবেন। এর পরে টেট-উত্তীর্ণরাও তাঁর সঙ্গে দেখা করার দাবিতে ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
সোমবার ব্রাত্য স্পষ্ট করে দেন, রাজ্যে এ বার শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ হবে আইনি পথে। তাঁর কথায়, ‘‘সহানুভূতির সঙ্গে আইন মেশাতে হবে। আইনহীন সহানূভূতি হয় না। সহানুভূতিহীন আইন অর্থহীন। আইন ও সহানুভূতির সুষ্ঠু সমন্বয় চাই। বেআইনি ভাবে আমরা কিছু করতে চাই না।’’ সবার ক্ষেত্রে যে সহানুভূতি দেখানো হবে না, সে কথা মনে করিয়ে ব্রাত্য বলেন, ‘‘আন্দোলন মাত্রই ন্যায্য নয়। যাঁদের ক্ষেত্রে আমাদের মনে হবে, তাঁদের সঙ্গেই সহানুভূতির সঙ্গে বসব।’’
ব্রাত্য জানিয়েছেন, আপার প্রাইমারি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এবং প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তাঁর দফতর এসএসসির প্রধান সচিব, বোর্ডের সভাপতি, চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। ব্রাত্যের দাবি, ওই বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। সেখানে দ্রুত নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়োগে কোনও ফাঁকফোকর থাকবে না, সোমবার শিক্ষামন্ত্রী সে কথা বার বার বলেন। তাঁর কথায়, ‘‘৮ অগস্ট নিয়োগের আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠক হবে। নিয়মের ব্যাপক পরিবর্তন হবে। আমরা আইন মন্ত্রীর কাছে খসড়া পাঠাচ্ছি। নিয়োগ নিয়ে নিশ্ছিদ্র আইন চাই।’’
চলতি বছরেই এসএসসিতে ২১ হাজার নতুন নিয়োগ হবে বলেও সোমবার জানিয়েছেন ব্রাত্য। তাঁর কথায়, ‘‘সংরক্ষিত এবং অসংরক্ষিত পদের হিসাব করে শূন্যপদের তালিকা তৈরি করতে মাসখানেক লাগতে পারে। পুজোর মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে ওই প্রক্রিয়া।’’