Partha Chatterjee

নিয়ম মেনেই যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ: পার্থ

২১ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক লাইভের সময় দেখা যায়, সেখানে কমেন্ট বক্সে শিক্ষকের চাকরি চান, এমন বহু প্রার্থী ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রীর ফেসবুক পেজেও তাঁর প্রোফাইলে গিয়ে কমেন্ট বক্সে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানাচ্ছেন বহু চাকরিপ্রার্থী। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২০ ০৫:৫২
Share:

ফাইল চিত্র

তিনি চাকরিদাতা নন। এমনকি নন কর্মসংস্থান কেন্দ্রের অফিসারও। তাঁর ফেসবুকের প্রোফাইল ছবিতে শিক্ষকপদ প্রার্থীরা চাকরি না-পাওয়ার সমস্যার কথা লিখলেই যে সমাধান হবে না, সেটা সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সঙ্গেই তাঁর আশ্বাস, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যাঁরা যোগ্য, নিয়ম মেনে তাঁদের নিয়োগ হবে।’’

Advertisement

শিক্ষকপদে নিয়োগপত্র না-পেয়ে প্রার্থীদের ক্ষোভ সম্প্রতি গিয়ে পড়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক লাইভেও। ২১ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক লাইভের সময় দেখা যায়, সেখানে কমেন্ট বক্সে শিক্ষকের চাকরি চান, এমন বহু প্রার্থী ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রীর ফেসবুক পেজেও তাঁর প্রোফাইলে গিয়ে কমেন্ট বক্সে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানাচ্ছেন বহু চাকরিপ্রার্থী।

তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে শিক্ষকের পদপ্রার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ প্রসঙ্গে পার্থবাবু বলেন, ‘‘আমরা নিয়োগ-বিরোধী নই। আমাদের আমলে শিক্ষকপদে প্রচুর চাকরি হয়েছে। আদালতের জটিলতায় কিছু চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ আটকে রয়েছে। তবে প্রাথমিক শিক্ষকপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে নেই। আমি পুরো বিষয়টিই খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

Advertisement

টেট পাশ, ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বহু চাকরিপ্রার্থী বসে আছেন বছরের পর বছর। অতিমারির জন্য তাঁরা আন্দোলন স্থগিত রেখেছিলেন। কিন্তু নিয়োগপত্র না-পেয়ে ওই প্রার্থীরা আবার রাস্তায় নেমে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া বছরের পর বছর বন্ধ হয়ে আছে। অবিলম্বে সেটা শুরু করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

প্রার্থীদের ক্ষোভ প্রসঙ্গে পার্থবাবু এ দিন বলেন, ‘‘আমরা শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে যথেষ্ট উদ্যোগী এবং আন্তরিক। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া মামলার জটিলতায় আটকে আছে। সেখানে আমাদের কী করার আছে! শিক্ষকপদে নিয়োগ বন্ধ হবে না। কিন্তু উপযুক্ত পরিস্থিতি না-থাকলে কী করে নিয়োগ করব!’’

প্রশ্ন উঠছে, আদালতের জটিলতায় উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ আটকে থাকলেও প্রাথমিকে শিক্ষক নেওয়া হচ্ছে না কেন? বহু ডিএলএড প্রশিক্ষিত প্রার্থী বছরের পর বছর বসে আছেন। সরকারের গাফিলতিতে অনেকের চাকরির বয়সও চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কিছু প্রার্থী। ‘‘সে তো অনেকেই স্নাতক, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে বসে আছেন। অনেকেই নানা রকম প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সকলের কি চাকরি হচ্ছে, পাল্টা প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর। তিনি জানান, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কোথায় কী রকম শিক্ষকের চাহিদা, তা দেখে নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ হবে।

শিক্ষামন্ত্রীর কিছু বক্তব্য মানতে নারাজ ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পিন্টু পাড়ুই। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের চাকরি হবে। এমনকি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও টেট পাশ করা প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের তালিকা বার বার চেয়েছেন আমাদের কাছে। আমরা তিন বার সেই তালিকা শিক্ষামন্ত্রীকে দিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’’ অন্য দিকে, সরকারপন্থী শিক্ষক সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, ‘‘সরকার যোগ্য প্রার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, চাকরি প্রার্থীদের একাংশ রাজনৈতিক দলের শরণাপন্ন হয়ে মামলা করছেন। ফলে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হচ্ছে। নতুন নিয়োগ বা পরীক্ষার বিজ্ঞাপন দিতে পারছে না সরকার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement