নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না বলে জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
কলকাতা হাই কোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে ফের মামলা হলেও উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না বলে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-কর্তৃপক্ষ বুধবার জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, নতুন মামলা শুরু হলেও ডিভিশন বেঞ্চ এখনও পর্যন্ত কোনও রায় অথবা বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপরে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি।
এসএসসি-র চেয়ারম্যান শুভশঙ্কর সরকার বলেন, “দু’-এক দিনের মধ্যেই ইন্টারভিউয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ইন্টারভিউয়ের তালিকায় নাম ওঠেনি বলে যে-সব প্রার্থী অভিযোগ করছেন, তাঁদের অভিযোগপত্র নেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার অভিযোগপত্র জমা পড়েছে। ই-মেল করে বা ডাকযোগে তো বটেই, কমিশনের দফতরে এসেও অনেক প্রার্থী অভিযোগপত্র দিয়ে যাচ্ছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সব অভিযোগপত্রই খতিয়ে
দেখা হবে।”
শিক্ষা শিবির সূত্রের খবর, ওই প্রার্থীদের অধিকাংশই জানাচ্ছেন, তাঁদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক বা বিএডের কোনও একটি বা দু’টি নথি আপলোড হয়নি— এই অভিযোগে তাঁদের নাম ইন্টারভিউয়ের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের বক্তব্য, সব নথি ঠিকমতো আপলোড হয়েছে বলে মেসেজ আসার পরেও আপলোডের সমস্যা হল কেন, সেটা তাঁরা এখনও বুঝতে পারছেন না। তাই আর অনলাইনে আপলোডের উপরে ভরসা না-করে বহু প্রার্থীই সল্টলেকে এসএসসি-র অফিসে গিয়ে আবেদনপত্র জমা দিচ্ছেন। শেখ সাহেব আলি নামে বর্ধমানের এক প্রার্থী বলেন, “এসএসসি জানিয়েছে, আমার নাকি বিএডের মার্কশিট আপলোড হয়নি। অথচ আমি সব নথিপত্রই আপলোড করেছিলাম। করোনা বিধিনিষেধের জন্য বাস কম চলছে। তার মধ্যেই ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাসে করে এসে ফের আবেদনপত্র জমা দিলাম।”
তারিক আহমেদ নামে নিউ টাউনের এক প্রার্থী বলেন, “মাধ্যমিক থেকে শুরু করে বিএড— সব নথি আপলোড করার পরেও বলা হচ্ছে, আমার নাকি কোনও নথিই আপলোড হয়নি! এটা অবিশ্বাস্য। তাই এ বার এসএসসি-র অফিসে এসে হাতে হাতে আবেদনপত্র দিয়ে গেলাম।” তারিক জানান, উচ্চ প্রাথমিকে তাঁর বিষয় আরবি। তাঁর বিষয়ে ৬৮.৫৩ নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পেয়েছেন। তিনি হিসেব করে দেখেছেন, মাধ্যমিক থেকে শুরু করে বিএড পর্যন্ত যদি তাঁর সমস্ত নথি আপলোড হয়ে থাকে, তা হলে তাঁর নম্বর হওয়া উচিত ৭৬.১২। তারিকের দাবি, এসএসসি তাঁর অভিযোগ খতিয়ে দেখলে এ বার ইন্টারভিউয়ের তালিকায় তাঁর নাম থাকা উচিত।