কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
ঠিক আট বছর আগে চাকরির লিখিত পরীক্ষা হয়েছে। আজ অবধি নিয়োগ হয়নি। সেই নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। আজ, বুধবার আদালতে সেই শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। প্রশ্ন, আদালত কি স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসিকে মেধা তালিকা প্রকাশের অনুমতি দেবে? না কি আবার পিছিয়ে যাবে শুনানি।
২০১৫ সালের ১৬ অগস্ট তাঁরা উচ্চ প্রাথমিকের চাকরির নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এক বার মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু মামলায় বাতিল হয়েছে সেই তালিকা। গত আট বছরে চাকরিপ্রার্থীরা দু’বার করে ইন্টারভিউও দিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু নানা আইনি জটিলতায় এক জনেরও নিয়োগও হয়নি।
উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী সুশান্ত ঘোষ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘এই নিয়োগের ঘোষিত শূন্য পদ রয়েছে ১৪ হাজার ৩৩৯টি। এক জনও যোগ্য প্রার্থী চাকরি পাননি। ২০১৯ সালের ৪ অক্টোবর মেধা তালিকা প্রকাশিত হলেও, দুর্নীতির অভিযোগে ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর তা আদালতের নির্দেশে বাতিল হয়। নতুন করে ২০২১ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য এসএসসি-কে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তবে এসএসসি তা কার্যকর করতে পারেনি। শুধুমাত্র ইন্টারভিউ হয়েছে।’’
আবার সেই মেধা তালিকা প্রকাশ ও নিয়োগের বিষয়ে নিয়ে হাই কোর্টে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে বুধবার শুনানি ধার্য হয়েছে। যেহেতু মামলাটির শুনানির সময় প্রথমার্ধে ধার্য হয়েছে, তাঁদের আশা, শুনানি হবে। পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ ২৫৬ দিন ধরে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, বুধবার শুনানি শেষে যদি ফের হতাশাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা হলে তাঁরা আবার এসএসসি-র সদর দফতরে অভিযান করতে পারেন।