—প্রতীকী ছবি।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রসন্ন রায় ও শান্তিপ্রসাদ সিংহের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল ইডি।
বৃহস্পতিবার শান্তিপ্রসাদ ও প্রসন্ন ছাড়াও আরও ১৬ জনের বিরুদ্ধে ওই চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন ১৫ জন মিডলম্যান। ৩০০ পাতার ওই চার্জশিটে নাম রয়েছে ৯০টি সংস্থারও। তদন্তকারীদের দাবি, এই মামলায় প্রসন্নই অন্যতম ধনী মিডলম্যান।
চার্জশিটে ইডির দাবি, অভিযুক্তদের কাছ থেকে নগদ টাকা-সহ ২৩০ কোটি টাকার যে সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে, তার নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রের খবর। চার্জশিটের পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় উঠে আসা প্রায় ১৭ হাজার পাতার নথির বিষয়ে আদালতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ দিন প্রসন্নর আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা বলেন, “ওই চার্জশিট অভিযুক্তদের আইনজীবীদের দেওয়া হয়নি। তা হাতে পাওয়ার পরেই ইডির অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখা হবে।”
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রসন্ন ও শান্তিপ্রসাদ সিবিআইয়ের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। প্রসন্ন সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পেলেও ইডির মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন। শান্তিপ্রসাদ অবশ্য কোনও মামলতেই জামিন পাননি। তিনিও জেলে রয়েছেন।
ইডি সূত্রের দাবি, প্রসন্ন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং মূলত প্রসন্নর মাধ্যমেই প্রার্থীদের বাঁকা পথে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পার্থর নির্দেশেই প্রসন্ন অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদের হাতে তুলে দিতেন বলেও তদন্তকারীদের দাবি। ওই তালিকা অনুযায়ী অযোগ্য প্রার্থীদের বাঁকা পথে চাকরির ব্যবস্থা করতেন শান্তিপ্রসাদ। শান্তিপ্রসাদ ও প্রসন্নর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে।
ইডির অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি কালো টাকা নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন প্রসন্ন। ওইসব সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। প্রসন্নর সঙ্গে আরও মিডলম্যান এতে জড়িত। তাঁদের চার্জশিটে অভিযুক্ত দায়ের করা হয়েছে। নামে-বেনাম যে সব সংস্থা খুলে কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল, তাদের নামও চার্জশিটে রাখা হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।