জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। —ফাইল চিত্র।
বাস্তবে তাঁদের কোনও অস্তিত্ব নেই। এমন সব ‘ভুয়ো’ চাষির নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট করে সেই অ্যাকাউন্টে চাষিদের পাওনা ধানের সহায়ক মূল্য জমা পড়েছে— রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে নেমে এমন অভিযোগ আগেই শোনা গিয়েছিল ইডির তদন্তকারীদের কথায়। সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার রেশন দুর্নীতির মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুকে আদালতে তুলে সেই ভুয়ো অ্যাকাউন্টের তথ্য জমা দিতে পারে ইডি। ইতিমধ্যেই সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই বিষয়ে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
গত ২৬ অক্টোবর জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতারের পরে কলকাতা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পেশ করা হয়েছিল। এ বার কলকাতা বিচার ভবনের সিবিআই (পিএমএলএ) বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে মন্ত্রীকে। প্রসঙ্গত, ইডির মামলায় বিশেষ আদালতেই শুনানি এবং বিচার প্রক্রিয়া হয়। আইনজীবীদের একাংশের কথায়, রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত, জেল হেফাজতে থাকা বাকিবুর রহমান এবং জ্যোতিপ্রিয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ তাই বিশেষ আদালতেই জমা দেবে তদন্তকারী সংস্থা।
আদালত সূত্রের খবর, আজ জ্যোতিপ্রিয়ের অসুস্থতার কথা জানিয়ে তাঁর আইনজীবীদের তরফে মন্ত্রীর চিকিৎসার আবেদন জানানো হতে পারে। জেলে থাকা মন্ত্রীর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং জ্যোতিপ্রিয়র সেলে একটি খাট দেওয়ার জন্য আবেদন করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পেশ করার আগে কমান্ড (সেনা) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মন্ত্রী দাবি করেছিলেন, তিনি অসুস্থ এবং তাঁর হাত-পা অসাড় হয়ে যাচ্ছে। আইনজীবীদের একাংশের কথায়, বিশেষ আদালতের বিচারকের কাছে আজ ‘অসুস্থতা’র কথা নিজেই তুলে ধরতে পারেন জ্যোতিপ্রিয়।
গত ২৬ অক্টোবর গ্রেফতারির পরে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে যখন আদালতে তোলা হয়েছিল, তিনি সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে বাইপাসের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন দিন চিকিৎসার পরে ইডি তাঁকে হেফাজতে নেয়। তারপর থেকে প্রায় নিয়মিত কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। ইডির হেফাজত শেষে মন্ত্রী এখন জেলে। সেখানেও নিয়মিত জেলের চিকিৎসকেরা তাঁকে দেখছেন।